ছবিটির প্রচারণায় আগে অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঢাকায় এসেছেন মুক্তির দিনে। কেন আগে আসতে পারেননি?
‘যদি একদিন’ মুক্তির কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশে আসার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কিন্তু ভিসা জটিলতায় সঠিক সময়ে বাংলাদেশে আসতে পারিনি। পরে জটিলতা কেটে গেলে ভিসা পাই। এরপর গত শুক্রবার ঢাকায় আসি।
চলচ্চিত্রটি নিয়ে কিন্তু অভিনব প্রচারণা করেছেন নির্মাতা রাজ ও তাহসান...
শুনেছি। কিছু ছবিও দেখেছি। ইচ্ছা ছিল সিনেমার প্রচারে অংশ নেওয়ার, কিন্তু পারিনি। প্রমোশনে অংশ নেওয়ার জন্য অস্থির ছিলাম। ভাগ্য খারাপ, আসতে পারিনি। অনেক মিস করেছি সবাইকে।
এটি মুক্তি পেয়েছে গত শুক্রবার। চলচ্চিত্রটি নিয়ে দর্শক প্রতিক্রিয়া জানতে কি প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন?
আমি ঢাকায় এসেই প্রথমে আরটিভিতে গিয়েছি। এরপর মুক্তির দিনে পুরো টিম ঢাকার কিছু প্রেক্ষাগৃহে ঘুরেছি। দর্শকের সঙ্গে চলচ্চিত্রটি দেখেছি। চলচ্চিত্রটি নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জেনেছি। গত শনিবারও একই পরিকল্পনা করে কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছি। ঢাকার বাইরের কয়েকটি সিনেমা হলেও যাওয়ার কথা আছে। তবে বিরতি দিয়ে দিয়েই সেগুলোতে যাব।
প্রথম দিনে কোন কোন প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছিলেন?
ঢাকায় এসেছি শুক্রবার ১২টার দিকে। এরপর সন্ধ্যার সময় সীমান্ত সম্ভারের স্টার সিনেপ্লেক্সে গিয়েছি। আমার সঙ্গে তাহসান, রাজ, তাসকিন ও রাইসাসহ অনেকেই ছিল। তার আগে বলাকা আর শ্যামলী হলেও গিয়েছিলাম সবাই মিলে।
দর্শক প্রতিক্রিয়া কেমন পেলেন?
বেশির ভাগ দর্শক খুবই এপ্রিসিয়েট করেছে। অনেক দর্শক ছবিটি দেখে কেঁদেছেনও। দর্শকরা বলেছেন, বহুদিন পর এমন কোনো ছবি দেখে নিজের অজান্তেই তাদের চোখ ভিজে গেছে। সবার অভিনয়, নির্মাণ ও গল্প তাদের ভালো লেগেছে বলে জেনেছি।
আপনার কাছে ছবিটি কেমন লেগেছে?
ভীষণ পছন্দের একটা ছবি! কারণ এই ছবিটি নিয়ে অনেক দিন ধরে আমরা প্লান করেছি। খুবই সুন্দর একটি গল্প। আমি তো বলব, ছবিটির গল্পই এই ছবির হিরো। আসাদ জামানকে ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর সংলাপ লেখার জন্য। ভীষণ নার্ভাস ছিলাম প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি ছবি করছি বলে। তবে বিভিন্ন বিষয়ে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত রাজ খুবই
হেল্প করেছে। এটি খুবই ভালো লাগার, ভালোবাসার একটি ছবি। একসঙ্গে হলে গিয়ে দেখার একটি ছবি।
ছবিটি করার পেছনে কারণ কী ছিল?
একদিন রাজ কলকাতা গিয়ে এই ছবিটির স্ক্রিপ্ট নিয়ে আমার সঙ্গে দেখা করল। অনেকক্ষণ ধরে এটি পড়লাম। দেখলাম, অনেক সুন্দর একটা গল্প। কনটেন্ট ভালো হলে আমি সেই ছবিটি করে থাকি।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশি ছবিতে অভিনয়। সব মিলিয়ে কেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে?
কাজের সুবাদে বাংলাদেশ ও এ দেশের মানুষ সম্পর্কে অনেক জেনেছি। আর বাংলাদেশ সম্পর্কে অনেক আগে থেকেই ভালো ধারণা ছিল। দুই দেশের ভাষা ও সংস্কৃতির সঙ্গে অনেক মিল। নিজের দেশ মনে করেই ছবিতে কাজ করেছি।
এখন থেকে কি এ দেশের ছবিতে নিয়মিত হবেন?
সবে তো শুরু। সামনে এ দেশের ছবিতে আরও কাজ হবে বলেই আশা রাখছি।
গায়ক-নায়ক তাহসান, তাসকিন, আফরিনসহ অন্য সহশিল্পীদের সঙ্গে কাজ করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সহশিল্পী তাহসান তো একজন ওয়ান্ডারফুল অ্যাক্টর! সে খুবই ফ্রেন্ডলি। আর কো-আর্টিস্ট সবার সঙ্গেই আমার কাজের অভিজ্ঞতা অসাধারণ! সবাই খুবই প্রফেশনাল। তাসকিন ভালো একজন অভিনেতা।
আরেকজনের কথা না বললেই নয়, সুপারস্টার আফরিনের কথা। আমি তাকে পরী বলে ডাকি। ওকে আমি ভীষণ ভালোবেসে ফেলেছি। সে অনেক মিষ্টি, অনেক সুইট!
পরিচালক হিসেবে রাজ কেমন?
অসাধারণ! তবে পরিচালকের চেয়ে সে বন্ধু হিসেবে দারুণ। সে আমার ভালো বন্ধু, কাছের ভাইয়ের মতো।
এই ছবির মিউজিক কেমন ছিল?
এক কথায় অসাধারণ! মন ছুঁয়ে যাওয়া গান করেছে হৃদয়, ইমরান, তাহসান, পড়শী ও কোনাল।
বাংলাদেশের কী কী খাবার খেয়েছেন?
বাংলাদেশে আমি অনেক মজার ও সুস্বাদু খাবার খেয়েছি। এ দেশে এসেই ইলিশ মাছ খেয়েছি। আর রাজ সবসময় আমাকে প্রচুর স্পেশাল ট্রিট দিয়েছেন।