মহালয়ায় আবার দেবী দুর্গার সাজ। অভিনয়। আমি নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাই। গত বছরও মহালয়ায় দুর্গা সেজেছিলাম। প্রতি বছর দেবীর বেশে সেজে ওঠার প্রস্তাব এলেও আমার একঘেয়ে লাগে না। কখনো মনে হয় না, এই তো গত বছর একই সাজে সেজেছিলাম! বরং প্রতিবারই এক অন্য ধরনের নতুন আবেগ কাজ করে। শৈশব থেকেই দেখে আসছি আমার বাড়িতে প্রতিমা গড়া হয়। তার পর পুজো হয়। তাই দুর্গোৎসব মানেই আমার কাছে আবেগের স্মৃতিজাল। ঈশ্বর তো সব সময়ই আমাদের চালনা করছেন। কিন্তু এই নির্দিষ্ট সময়টা আমরা তাঁকে নিয়ে উৎসবে মেতে থাকি। মা দুর্গা আছেন মানে সব ঠিক হয়ে যাবে। তিনি সবাইকে সুবুদ্ধি দেবেন। আমি এমনটাই ভাবি। যখন স্নাতকের দ্বিতীয় বর্ষ, তখন থেকেই মহালয়ায় দুর্গা সাজা শুরু আমার। প্রতিবারই নতুন কিছু খুঁজে পেয়েছি। মা দুর্গার কত রূপ! কখনো তিনি কাত্যায়নী, কখনো তিনি পার্বতী বা সতী। পুরাণে তাঁকে নিয়ে কত গল্প রয়েছে! পুরাণের গল্প নিয়ে আজকাল খুব একটা চর্চা অবশ্য হয় না। তাই এ ধরনের অনুষ্ঠান টিভির পর্দায় তুলে ধরলে বাচ্চারাও দেখে। মা দুর্গার প্রতিটি রূপই অশুভ বধের জন্য নির্মিত। সেখান থেকেই শিখি আমরা কীভাবে নিজের ভিতরের অশুভ বা নেতিবাচক শক্তি বা বোধ দমন করতে হয়।