বদরুল আনাম সৌদের ‘গহীন বালুচর’-এর মাধ্যমে প্রথমবার সিনেমায় আসেন লাক্স তারকা নীলাঞ্জনা নীলা। দীর্ঘ বিরতির পর আবারও একই নির্মাতার ‘শ্যামা কাব্য’ নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছিলেন। এরপর নতুন বেশকিছু কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সমসাময়িক বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে শোবিজ প্রতিবেদকের কথোপকথন-
নতুন কোনো চলচ্চিত্র করেছেন?
এস এম কাইয়ুমের ‘অন্তর্র্বর্তী’ নামে একটি চলচ্চিত্রের কাজ করেছি। সঙ্গে আবু হুরায়রা তানভীর। শুটিং শেষ; পোস্ট প্রডাকশনের কাজ চলছে। এ ছাড়াও করেছি মুস্তাফিজুর রহমান মানিকের ‘রুখসার’র। আরও কিছু প্রস্তাব আছে। সেগুলোও একে একে করব।
শ্যামা কাব্যে নিজের অভিনীত চরিত্রটি কেমন ছিল?
একেবারেই অন্যরকম একটি চরিত্র ‘শ্যামা’। খুবই শান্তশিষ্ট মেয়ে। সে জমিদার বংশের। অনেক কম কথা বলে। তবে যা বলে বুঝেশুনে। আসলে শুটিংয়ের সময় চরিত্রটির মায়ায় পড়ে গিয়েছিলাম। সব মিলিয়ে কাজটি করে আমার বেশ ভালো লেগেছে। এর আগে ‘গহীন বালুচর’ সিনেমার ‘নিশি’ চরিত্রটি দর্শক গ্রহণ করেছিল।
সাত বছর পর একই নির্মাতার ‘শ্যামা কাব্য’ দিয়ে হলে ফিরেছেন। সৌদের সঙ্গে কাজ করতে কেমন লেগেছে?
বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। তাঁর সঙ্গে বড় পর্দায় আগেও কাজ করেছি। তার পুরো টিমের সঙ্গেই আমার পারিবারিক একটা সম্পর্ক। ডিরেক্টর হিসেবে তাঁকে আমার খুবই ভালো লাগে। তিনি খুব ভালো করে বোঝান।
নির্মাতা সৌদের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন...
আমি তো এটা কখনোই শুনিনি। এটা কোথা থেকে এলো! এটা পুরোই ফালতু একটি কথা। এটাকে পুরোই হাস্যকর লাগল আমার কাছে। আমি জানি না এটা কারা ছড়াচ্ছে, কেন ছড়াচ্ছে, কীভাবে ছড়াচ্ছে। এটা জাস্ট একটা ফালতু কথা। কেন এ ধরনের কথা উঠল আমি নিজেও জানি না। এটা কীভাবে সম্ভব!
তাহলে কি নীলাঞ্জনা প্রেমে নেই?
হা হা হা... আসলে প্রেম করি না বলেই এখন নিয়মিত কাজ করতে পারছি। আমি মন দিয়ে অভিনয়টাই করতে চাই স্বাধীনভাবে। অন্য বিষয় পরে ভাবা যাবে।
ছোট পর্দায় কম দেখা যাচ্ছে কেন?
যখন দেখলাম ধারাবাহিক নাটকগুলোর গল্পে ধারাবাহিকতা থাকছে না, নির্দিষ্ট বাজেটে একক নাটক, টেলিছবি নির্মাণ করতে গিয়ে মান ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে নির্মাতাদের জন্য, তখন থেকেই এ মাধ্যমে অভিনয়ের কথা নতুন করে ভাবতে শুরু করেছি। এ কারণে ছোট পর্দায় অভিনয় কমিয়ে দিয়েছি। পাশাপাশি ওটিটির কাজেও মনোযোগ দিয়েছি। আসলে গৎবাঁধা কাজ সত্যি আর ভালো লাগে না। তারপরও সংখ্যায় কম হলেও যে কাজগুলো করছি, তা কিছুটা হলেও আত্মতৃপ্তি দিচ্ছে।
অনেক বছর হয়ে গেল, ওটিটিতে কাজ কেন করছেন না?
আমি তো করতেই চাই কিন্তু হচ্ছে না কেন জানি। তবে ঠিকঠাক প্রস্তাব পেলে অবশ্যই করতে চাই।