ত্রিশুল হাতে দুর্গারূপী নওশাবাকে এবার অন্যরকম সব বার্তা দিতে দেখা গেল। এ প্রসঙ্গে নওশাবা বলেন, আমরা পাঁচ উপাদান নিয়ে কাজ করি। মাটি, পানি, বাতাস, আগুন ও আকাশ। এগুলোকে পরিচ্ছন্ন রাখার বার্তা দিয়েছি। দুর্গার মাধ্যমে নারীশক্তিকে কীভাবে রিপ্রেজেন্ট করা যায়, সেই চেষ্টা করেছি। আমরা সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ একত্রে মিলেমিশে থাকব, এটাই তো সম্প্রীতি। এ ধর্মনিরপেক্ষতাই তো আমরা চেয়েছিলাম। আমার নানুবাড়ি টিকাটুলিতে। বাড়িতে আমরা তুলসী গাছ দেখেছি। স্কুলে কখনো ভাবতে হয়নি যে পাশে কে বসেছে, তার ধর্ম কী! চারুকলায়ও এসব ছিল না। এখন কেন ভাবতে হবে? ধর্মনিরপেক্ষ বা সম্প্রীতির যে বাংলাদেশের কথা আমরা বলি, সেটা কীভাবে পাব আমরা? আমি যেহেতু শিল্পী, শিল্পের ভাষায় আমি সেই প্রশ্ন ও প্রত্যাশা তুলে ধরতে চেষ্টা করেছি। আমার অবস্থান ও প্রতিবাদটাও হবে শিল্পের মাধ্যমে। নওশাবা বলেন, আমি যখন ‘সিদ্ধার্থ’ করি, তখন আমি গৌতমবুদ্ধের কাছ থেকে শিখি। আমি সব ধর্মের ধর্মগুরুর কাছ থেকে শিখি। সেই শিক্ষা আমি সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করি। সবার বিশ্বাসকে সম্মান করতে হবে, এটাই আমার বিশ্বাস। ফিলিস্তিনে যা হচ্ছে সেটা কি মেনে নেওয়ার মতো? একটা জাতিকে এভাবে সাপ্রেস করে রাখা হবে কেন যুগের পর যুগ? ফিলিস্তিনের বিষয়টিও এনেছি সে কারণে। আমরা মেনে নিচ্ছি কেন, আমরা কী উদাহরণ দাঁড় করাচ্ছি? মানুষ হিসেবে ফিলিস্তিন বিষয়ে আমাদের স্ট্যান্ড কী? পৃথিবীতে এভাবে গণহত্যা চলতে পারে না।