২৯ এপ্রিল, ২০১৬ ০৯:০৪

কঙ্গনা আমায় 'কালো জাদু' করেছিল: সুমন

অনলাইন ডেস্ক

কঙ্গনা আমায় 'কালো জাদু' করেছিল: সুমন

তাঁর মুকুটে যোগ হয়েছে অনেক পালক৷ একের পর এক খেতাব দখল করায় এখন বি-টাউনের আনাচে কানাচে কান পাতলেই শোনা যায় একটাই নাম- কঙ্গনা রানাউত৷ আবার হৃতিক রোশনের সঙ্গে সম্পর্কজনিত বিবাদের কারণেও এখন প্রতিদিন শোনা যায় কঙ্গনার নাম। এবার আবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে কঙ্গনা। তবে হৃতিককে নিয়ে কোন ঘটনায় নয়, নায়িকার সাবেক প্রেমিক অধ্যয়ন সুমনের বক্তব্যে। 'রাজ দ্য মিস্ট্রি কন্টিনিউজ' নামে একটি ছবিতে একসঙ্গে কাজও করেন দু'জনে৷ সুমন জানিয়েছেন, কঙ্গনা জাদুটোনায় বিশ্বাস করতেন এবং তাকেও 'কালো জাদু' করেছিলেন। এটা করতে গিয়ে তার (সুমন) খাবারে গোপনে নিজের অশুদ্ধ রক্ত মেশাতেন কঙ্গনা। এজন্য নিয়মিত এক জ্যোতিষীর কাছে যেতেন। তাকেও সেখানে নিয়ে গেছেন।

এমন খবরে বলিউডে ফের নড়েচড়ে বসেছে কঙ্গনা অধ্যায়। চারিদিক থেকে একের পর এক অভিযোগের তীরে বিদ্ধ কঙ্গনা অবশ্য সুমনের বক্তব্য নিয়ে কোন মন্তব্য এখনও করেননি। মিডিয়াও এখন কঙ্গনার সেই জ্যোতিষীকে খুঁজছে তন্ন তন্ন করে।

অধ্যয়ন সুমন বলেন, ''কঙ্গনা আমাকে পল্লবী নামের একজন জ্যোতিষীর কাছে নিয়ে যেত। সেই জ্যোতিষী সব সময় আমার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলত এবং কঙ্গনা সম্পর্কে ইতিবাচক কথা বলত। তিনি আমাকে বলতেন, আমার সময় ভালো যাচ্ছে না। আমি যদি কিছু পূজা করি তাহলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আমি এগুলো বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু কঙ্গনা জোর করায় আমি রাজি হই। একদিন কঙ্গনা আমাকে তার বাড়িতে ডাকে। রাত সাড়ে এগারোটার দিকে আমি তার বাড়িতে পৌঁছাই এবং রাত ১২টার দিকে পূজা শুরু হয়। তার অ্যাপার্টমেন্টে একটি গেস্ট রুম আছে। সে রুমটি কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে রেখেছিল। সে আমাকে কয়েকটি মন্ত্র পড়তে বলে। আমি ভয় পেয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যাই। এরপর সে প্রায়ই আমাকে পল্লবীর কাছে নিয়ে যেত। একদিন পল্লবী আমাকে কবর থেকে রাত ১২টার সময় কয়েকটি জিনিস আনতে বলে। এরপর আমি আর পল্লবীর ওখানে যাইনি।''

''আমি ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এ অবস্থা দেখে আমার মা খুব চিন্তিত হন। তিনি আমাদের পারিবারিক পণ্ডিতকে ডেকে পাঠান। পণ্ডিত এসে আমাকে জিজ্ঞেস করেন সে (কঙ্গনা) আমার জন্য খাবার বানাত কিনা? আমি জবাবে 'হ্যাঁ' বলি। এরপর তিনি বলেন, কঙ্গনা আমার খাবারে নিজের অশুদ্ধ রক্ত মেশাত।''

কঙ্গনা ব্ল্যাক ম্যাজিক সম্পর্কে কিছু বলত কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে অধ্যয়ন সুমন বলেন, ''হ্যাঁ, বলত। কিন্তু আমি শহরের ছেলে এবং লন্ডন ও নিউইয়র্কে পড়ালেখা করেছি, তাই জ্যোতিষশাস্ত্র বা ব্ল্যাক ম্যাজিকে বিশ্বাস করি না। আমি সব সময় এগুলো থেকে দূরে থাকতাম। কঙ্গনা আমাকে দিয়ে কিছু পূজা করানোর পর খেয়াল করলাম, আমি শুধু একজনকেই বুঝতে পারছি। আর সে হলো কঙ্গনা। সে হিমাচল প্রদেশের মেয়ে এবং সে সেখানে প্রায়ই পূজা করতে যেত। আমার গণক আমাকে বলেছিল, আমার সঙ্গে অনেক খারাপ কিছু ঘটতে যাচ্ছে। সে আমাকে কঙ্গনার সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করতেও বলেছিলেন।''

অধ্যয়ন সুমন আরো বলেন, ''আমার ক্যারিয়ার সম্পূর্ণ শেষ হয়ে যায়। আমি রাজ-টু সিনেমা করেছি যা ব্যবসাসফল ছিল। কিন্তু কেউ আমার কোনো খোঁজ করেনি। আমি আমার শেষ দেখতে পাচ্ছিলাম। আমার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাচ্ছিল, অন্য দিকে কঙ্গনা একের পর এক সাফল্য পাচ্ছিল। সেই দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো আমি শিউরে উঠি।''

রাজ-দ্যমিস্ট্রি কন্টিনিউস সিনেমায় অভিনয়ের সময় থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অধ্যায়ন এবং কঙ্গনা। ২০০৯ সালে মুক্তি পায় সিনেমাটি। এক বছর ছিল তাদের সম্পর্ক। এরপরই ছাড়াছাড়ি হয় তাদের। অধ্যয়নের দাবি কঙ্গনা তাকে ব্যবহার করে এবং পরে হৃতিকের দিকে ঝুঁকে পড়ে।

অধ্যয়ন জানান, সেই সময় তাঁকে কঙ্গনার ব্যাপারে সাবধান করে দেন আদিত্য পাঞ্চোলি৷ কিন্তু তখন আদিত্যর কথা বোঝেননি অধ্যয়ন৷ সেই বছরই এক জন্মদিনের পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন কঙ্গনা, ছিলেন অধ্যয়ন এবং তাঁর পরিজনেরাও৷ অনুষ্ঠানে ছিলেন অন্য অতিথিরাও৷ সেই অনুষ্ঠানে শেখর সুমনকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করেন কঙ্গনা৷ কথাটা কানে যেতেই আদিত্য পাঞ্চোলি শেখর সুমনকে ফোন করেন৷ অধ্যয়নকে কঙ্গনার খপ্পর থেকে বের করে আনতে বলেন আদিত্য৷ 'কঙ্গনা একজন সাইকো, ও আপনার ছেলের জীবনটা তছনছ করে দেবে', শেখরকে বলেন আদিত্য৷ আদিত্য বা শেখর, কারো কথাই তখন শোনেননি অধ্যয়ন৷ কথা না শোনার ফল শেখরপুত্র পান হাতেনাতে হৃতিকের জন্মদিনের পার্টিতে৷ হৃতিকের জন্মদিনের পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন যুগলে৷ অধ্যয়নের অভিযোগ, সেই পার্টিতে প্রেমিক অধ্যয়নকে ছেড়ে হৃতিকের সঙ্গেই বেশি ‘ব্যস্ত' ছিলেন কঙ্গনা৷


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর