১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:৪০

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ‘ছেড়ে যাস না।’

অনলাইন ডেস্ক

ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ‘ছেড়ে যাস না।’

বাংলাদেশের ছেলে বিয়ে করছেন ওপার বাংলার এক মেয়েকে। আর তা নিয়েই শুরু হল সব গোলমাল। এ এক ভালবাসার গল্প। এই বাংলা আর ওপার বাংলার ভালবাসার গল্প।  তবে এই ভালবাসার গল্পের অনেক কিছুই বাস্তবের মতো।

মেয়েটির বাড়ি উত্তরবঙ্গে। ধনী পরিবারের মেয়ে, কিন্তু তাঁর বাবা নেই। বাবার মৃত্যুর পরে মা-ই পারিবারিক ব্যবসা সামলান। তবে প্রাক্তন সেনাকর্মী দাদু বেঁচে রয়েছেন। তিনিই বাড়িতে আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশবাসী মুক্তিযোদ্ধা বন্ধুকে। নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে উত্তরবঙ্গে বন্ধুর বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধা দাদু আসেন নাতিকে সঙ্গে নিয়ে।

দুর্গাপুজোর আনন্দের মধ্যেই মেয়েটির মা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তখনই মাকে ভাল করে তোলেন বাংলাদেশ থেকে দাদুর সঙ্গে ঘুরতে আসা ওই ছেলেটি। ব্যস, নায়ক-নায়িকার প্রেম। কিন্তু প্রেম করলেই তো হল না, বিয়ে করতে প্রয়োজন বাড়ির অনুমতি। এদিকে মুসলমান ছেলের সঙ্গে বিয়ে দিতে নারাজ হিন্দু মেয়ের অভিভাবকরা।

এর পরে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করা, কষ্ট করে সংসার পাতা, একদিন সবার ভুল বুঝতে পারা। এমনই সাদামাটা সাধারন গল্প নিয়ে ছবি। আর সেই ছবিরই নায়কের ভুমিকায় অভিনয় করেছেন বাংলাদেশর নায়ক ফেরদৌস। আর নায়িকা ওপার বাংলার নতুন অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায়। ভারত-বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে তৈরি এই ছবির নাম ‘ছেড়ে যাস না।’ পরিচালক তপন সাহা।

টেলিফোনে ছবি নিয়ে অনেক কথা বললেন ফেরদৌস। ২৩ তারিখে ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। ফেরদৌস জানালেন, 'গল্পটা সাধারণ হলেও তার ভিতরে এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা ছবিটাকে আলাদা পরিচিতি দেবে'। আর চেনা ছকের গল্পের মধ্যেই ধরা পড়েছে এপার-ওপার দুই বাংলার সমাজচিত্র। ফেরদৌস জানালেন, 'এই ছবিটি মুক্তিও পাচ্ছে নতুন কায়দায়। সাধারণত কলকাতায় প্রিমিয়ার শো হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গকে প্রাধান্য দেওয়া এই ছবির প্রিমিয়ার হবে রায়গঞ্জে'।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়— বাংলার অনেক নায়িকার সঙ্গেই অভিনয় করেছেন ফেরদৌস। এবারে একেবারে নতুন নায়িকা। কেমন লাগল? প্রশ্ন শুনে ফেরদৌস জানালেন, ‘খুব ভাল মেয়ে। আর খুব ভাল অভিনয় করেছে। আর এই ছবিতে বাংলাদেশি হিসেবেই আমার পরিচয়। এটা খুব এনজয় করেছি।’


বিডি-প্রতিদিন/তাফসীর 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর