২১ অক্টোবর, ২০১৬ ১২:০৬

হলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত বিমানের হিসেব-নিকেশ

অনলাইন ডেস্ক

হলিউড তারকাদের ব্যক্তিগত বিমানের হিসেব-নিকেশ

শ্যুটিংসহ নানা প্রয়োজনে বিশ্ব ঘুরে বেড়াতে হয়। আর সব সময় তো বিমানবন্দরে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বোর্ডিং পাস সংগ্রহ করারও মেজাজ থাকে না। এ সমস্যার উপায় বের করেছেন হলিউড তারকারা। নিজেরাই কিনে নিয়েছেন বিমান। একটা নয়, সামর্থ্য অনুযায়ী কারও কারও প্রায় হাফ ডজন বিমানও আছে সংগ্রহে। কেউ আবার বিমান ল্যান্ড করানোর জন্যই বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত রানওয়ে, নিজস্ব ট্রাফিক কন্ট্রোলিং ব্যবস্থা। তেমনই কয়েকজন হলিউড তারকার ব্যক্তিগত বিমানের হিসেব নিকেশ:

টম ক্রুজ
বিশ্বের সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমানগুলোর মধ্যে একটি রয়েছে এ অভিনেতার দখলে। যে মডেলের বিমানের দাম শুরু হয় তিন কোটি ৬০ লক্ষ ডলার থেকে। ‘টপ গান’ ছবিতে অভিনয়ের সময় থেকেই টম ক্রুজের প্রাইভেট জেটের প্রতি আগ্রহ। ছবিটির শ্যুটিং শেষের পর ফ্লাইং স্কুলে নাম লিখিয়েছিলেন অভিনেতা। ১৯৯৪ সালে পাইলটের লাইসেন্স পান টম।

জিম ক্যারি
‘দ্য মাস্ক’, ‘ডাম্ব অ্যান্ড ডাম্বার’এর জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়েছে জিম ক্যারির ঝুলিতে। বক্স অফিসে সাফল্যের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে জিম ক্যারির রোজগারও। তাই বিমান কেনার সময় কৃপণতা করেননি জিম। সবচেয়ে ব্যয়বহুল ব্রান্ডের সর্বাধুনিক মডেলের  বিমানটিই কিনে নিয়েছেন। বিমানটি কিনতে তাকে প্রায় পাঁচ কোটি ৯০ লক্ষ মার্কিন ডলার খরচ করতে হয়।

আর্নল্ড শোয়ার্জনেগার
শোয়ার্জনেগারের প্রথম বিমান ২০০৮ সালে কেনা। শখ করেই একটি বিমানটি কিনেন আর্নল্ড। যা নিয়ে একাধিকবার ঝামেলাতেও পড়তে হয় তাকে। ক্যালিফোর্নিয়ার সান্টা মনিকায় শোয়ার্জনেগারের প্রাসাদের পাশেই ছিল সান্টা মনিকা মিউনিসিপ্যাল এয়ারপোর্ট প্রথম দিকে বিমানটি পার্ক করতেন আর্নল্ড। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলরের আপত্তিতে সেখানে পার্কিং করা বন্ধ হয়। শেষ পর্যন্ত বিমান বিক্রি করে দেন তিনি। কয়েক বছর আগে ফের একটি বিমান কিনেছেন তিনি।

জন ট্রাভোল্টা
প্লেন নিয়ে জন ট্রাভোল্টার পাগলামির কথা অজানা নয়। জন ট্রাভোল্টা নিজ বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেছেন আস্ত রানওয়ে। ফ্লোরিডার বাড়িতে রয়েছে হ্যাঙার-সহ ব্যক্তিগত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলিংয়ের বন্দোবস্তও। একবার জনের এক সহ-অভিনেতা রসিকতা করে বলেছিলেন, জনের কেরিয়ার আর বিমান নিয়ে পাগলামি প্রায় সমান্তরালভাবে এগিয়েছে। মাত্র ২২ বছর বয়সে পাইলটের লাইসেন্স পেয়েছিলেন। মোট পাঁচটি বিমান আছে তার মালিকানায়।

হ্যারিসন ফোর্ড
দক্ষ পাইলট হ্যারিসন ফোর্ড শুধু শখের পাইলট নন। একাধিকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তিনি বিপর্যয় মোকাবিলায় দেশের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়েছেন। বিমান নিয়ে একাধিকবার দুর্ঘটনাও পড়েছেন। তাতেও দমেননি হ্যারিসন। সুস্থ হয়ে উঠতেই প্রিয় বিমান নিয়ে ফের তিনি আকাশে ডানা মেলেছেন।

জ্যাকি চ্যান
জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে জ্যাকি চ্যানকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর করে ব্রাজিলের একটি বিমান সংস্থা। ফলও মিলেছিল হাতেনাতে। চীনের অভিজাত মহলে সংস্থার তৈরি বিমানের চাহিদা বেড়েছিল ঝড়ের গতিতে। সেই সঙ্গে লাভের অঙ্কও। উপহারস্বরূপ জ্যাকিকে একটা আস্ত বিমান উপহার দিয়েছে সংস্থাটি। বিমানের অন্দরের সাজসজ্জা নাকি জ্যাকির পরামর্শ মতোই করা হয়েছে। এটাই জ্যাকির প্রথম বিমান নয়। আরও একটি বিমান রয়েছে জ্যাকি চ্যানের সংগ্রহে।


বিডি প্রতিদিন/২১ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা  

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর