২৬ এপ্রিল, ২০১৭ ১৩:৪৯

দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়েই অরিজিৎ সিং-এর প্রাণ!

অনলাইন ডেস্ক

দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের মেয়েই অরিজিৎ সিং-এর প্রাণ!

ফাইল ছবি

মঙ্গলবার তিরিশ বছর পূর্ণ করলেন বাংলা‚ হিন্দি-সহ অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় প্লে ব্যাক সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র অধীশ্বর এখন অরিজিৎ সিং। জন্মদিন উপলক্ষে তাঁকে ঘিরে জানা গেছে কিছু অজানা তথ্য। যেমন, দ্বিতীয় স্ত্রীর আগের পক্ষের শিশুকন্যাই অরিজিৎ সিং-এর প্রাণ।

২০১৪ সালে ছোটবেলার বান্ধবী কোয়েল রায়কে বিয়ে করেন অরিজিৎ। কোয়েলেরও এটি ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। তাঁর আগের পক্ষের একটি বছর চারেকের মেয়ে আছে। সেই শিশুটিই অরিজিতের খুব আদরের। এছাড়া শোনা যায়‚ এটা তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে রিয়েলিটি শোয়ের এক প্রতিযোগীকে তিনি বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়ে ভেঙে যায়। 

অরিজিতের জন্ম মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে ১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল। তাঁর মা বাঙালি, বাবা পাঞ্জাবি। মামাবাড়িতে উচ্চাঙ্গসঙ্গীতের ঐতিহ্য আছে। মায়ের কাছেই সঙ্গীত শিক্ষার হাতেখড়ি তার। গানের পাশাপাশি তাঁর মা তবলাও ভাল বাজাতেন। মামাও ছিলেন তবলাশিল্পী।

তিনি গুরু রাজেন্দ্রপ্রসাদ হাজারির কাছে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত শিক্ষা নেন। তবলাশিক্ষক ছিলেন ধীরেন্দ্রপ্রসাদ হাজারি। এছাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীত শিক্ষা বীরেন্দ্রপ্রসাদ হাজারির কাছে।


১৮ বছর বয়সে ২০০৫ সালে অংশ নিয়েছিলেন রিয়েলিটি শো 'ফেম গুরুকুল'-এ। তবে ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেননি। কিন্তু সুযোগ পেয়ে যান '১০ কে লিয়ে ১০ লে গ্যয়ে দিল' শো-তে।সেটায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে পুরস্কারমূল্য দিয়ে বানান রেকর্ডিং সেট আপ।
 সেখান থেকেই শুরু টুকটাক কাজ। কাজ করেছেন শঙ্কর-এহ্সান-লয়‚ বিশাল-শেখর এবং প্রীতমের সহকারী হিসেবেও। তাঁর ভূমিকা ছিল মিউজিক কম্পোজারের।

ফেম গুরুকুল-এ জনপ্রিয় প্রতিযোগী ছিলেন অরিজিৎ। অরিজিতের প্রথম প্লে ব্যাক নিয়ে একাধিক তথ্য আছে। তবে সঠিক হল‚ তাঁর গলায় প্রথম প্লে ব্যাক ছিল মার্ডার ২-এর 'ফির মোহব্বত'। রেকর্ড করেছিলেন ২০০৯-এ। মুক্তি পেয়েছিল দু বছর পরে।

তাঁর প্রিয় শিল্পীরা হলেন উস্তাদ রশিদ খান‚ লতা মঙ্গেশকর এবং মহম্মদ রফি। সঙ্গীতশিল্পীর পাশাপাশি তিনি একজন ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়‚ লেখক‚ সিনেমাপ্রেমী এবং তথ্যচিত্র নির্মাতা।


বিডি প্রতিদিন/২৬ এপ্রিল ২০১৭/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর