২০ জুলাই, ২০১৭ ১৭:১০

গুরুতর আঘাত পেয়ে আইসিসিইউতে কঙ্গনা

অনলাইন ডেস্ক

গুরুতর আঘাত পেয়ে আইসিসিইউতে কঙ্গনা

বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউতের রঙ্গুন বক্স অফিসে তেমন হিট করতে পারেনি। ব্যাপারটা সহজে হয়তো মেনেও নিতে পারেননি এই অভিনেত্রী। আগের ছবির ব্যর্থতা মাথায় রেখে নিজের পরবর্তী ছবি মণিকর্ণিকা নিয়ে একটু চিন্তাতেই রয়েছেন অভিনেত্রী। আর সে কারণেই এই ছবির শুটিংএ কোন খামতি রাখতে চান না কঙ্গনা। ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাঈয়ের জীবনকাহিনি নিয়ে তৈরি মণিকর্ণিকার চিত্রনাট্য। বেশ কয়েকদিন ধরেই মণিকর্ণিকার শুটিং চলছে হায়দরাবাদে। এবার সেই শুটিং করতে গিয়েই ঘটে গেল বিপত্তি, সেটে গুরুতর জখম হলেন অভিনেত্রী। আসল তরোয়াল নিয়েই চলছিল শুটিং। শুটিং চলাকালীন তরোয়ালটি এসে লাগে অভিনেত্রীর কপালে। রক্ত বের হতে থাকে। দ্রুত শুটিং স্পট থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।

আপাতত হায়দরাবাদের অ্যাপোলো হাসপাতালের আইসিসিউ বিভাগে ভর্তি রয়েছেন কঙ্গনা। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কপালের জখমটি বেশ গুরুতর। ১৫টি সেলাই পড়েছে অভিনেত্রীর কপালে। আগামী কয়েকদিন চিকিৎসকের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাকে। ডাক্তারের মতে, অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তিনি। হাড়ের খুব কাছাকাছি পৌঁছে দিয়েছিল আঘাত। এর চেয়ে বেশি জখম হওয়ার সম্ভাবনা ছিল কঙ্গনার। প্রযোজক কমল জৈন জানান, নিহার পান্ডেয়ার সঙ্গে এই অ্যাকশন দৃশ্য শুট করতে বডি ডাবল নিতে চাননি কঙ্গনা। ছবির প্রতিটি অ্যাকশন দৃশ্য নিজেই শুট করবেন বলে জেদ করেছিলেন অভিনেত্রী।

তাই শুট করার আগে বহুবার রিহার্সাল করা হয়, কিন্তু তারই মাঝে টাইমিংএ গণ্ডগোল হয়ে যায়। তরোয়াল গিয়ে সটান লাগে কঙ্গনার কপালে। দুই ভ্রুর মাঝখান থেকে শুরু হয় রক্তপাত। শুটিং সেট থেকে ৩০ মিনিটের দূরত্বে অ্যাপোলো হাসপাতালে আনা হয় তাঁকে। এই ঘটনায় খুবই দুঃখিত হয়ে পড়েন অভিনেতা নিহার, ক্ষমাও চান কঙ্গনার কাছে। কিন্তু রক্তাক্ত অবস্থাতেও নিহারকে চিন্তা করতে বারণ করেন অভিনেত্রী, তিনি বলেন এটা নিছকই একটা দুর্ঘটনা। কিন্তু এত ব্যথা ও রক্তাক্ত অবস্থায় কঙ্গনা যে সাহসিকতা দেখিয়েছেন, তা নিয়ে গর্বিত তাঁর ছবির গোটা টিম। তবে এই আঘাতের ফলে কঙ্গনার কপালে এক ক্ষতের চিহ্ন রয়ে যাবে বলা জানান চিকিৎসকরা। সেই ক্ষত এতটাই গভীর যে তাঁর দাগ সরাতে প্লাস্টিক সার্জারি করাতে হবে অভিনেত্রীকে।

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর