২৮ জুলাই, ২০১৭ ০৪:৫৫

সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেল 'ইন্দু সরকার'

অনলাইন ডেস্ক

সুপ্রিম কোর্টের ছাড়পত্র পেল 'ইন্দু সরকার'

সব বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে মুক্তি পেতে চলেছে মধুর ভান্ডারকরের ইন্দু সরকার। প্রথম দিন থেকেই এই ছবিকে ঘিরে দানা বেঁধেছিল নানা বিতর্ক। আর সব বিতর্কের শুরু ছবির প্রেক্ষাপট ঘিরে। ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম কালো অধ্যায় জরুরি অবস্থাকে ভিত্তি করে তৈরি ছবির চিত্রনাট্য। 

হাইকোর্টে আবেদনের পর এই ছবির মুক্তিতে স্থগিতাদেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রিয়া পাল। যিনি কিছুদিন আগেই নিজেকে সঞ্জয় গান্ধীর মেয়ে বলে দাবি করেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তার সেই পিটিশন খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট। কোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, ২৮ জুলাই শুক্রবারই মুক্তি পাবে 'ইন্দু সরকার'।

ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে প্রথম দিন থেকেই প্রতিবাদ জানিয়েছে, সেই সময় ক্ষমতায় থাকা শাসকদল তথা কংগ্রেস। ছবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পেয়েও যায় এই ছবি। রাজনৈতিক দলের ধরনায় বিভিন্ন জায়গায় বাতিল করতে হয়েছে ছবি নিয়ে পরিচালক-কলাকুশলীদের সাংবাদিক সম্মেলন। 

ছবি মুক্তি পেলে সিনেমা হল ভাঙচুরের আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই নিরাপত্তা চেয়েছেন পুণের বেশ কিছু হলমালিক। বম্বে হাই কোর্টে এই ছবি মুক্তির রদ চেয়ে পিটিশন ফাইল করেছিলেন প্রিয়া। কিন্তু হাই কোর্ট এই ছবিকে ছাড়পত্র দেওয়ায় এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। এবার সুপ্রিম কোর্টও ছাড়পত্র দিল ইন্দু সরকারকে।

প্রিয়ার দাবি, এই ছবিতে ইন্দিরা গান্ধী ও তার বাবা সঞ্জয় গান্ধীর ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। অন্যদিকে মধুরের দাবি, এই ছবির ৭০ শতাংশই কাল্পনিক গল্প ও ৩০ শতাংশ সত্যি ঘটনা। তাও এই ছবির রিলিজ বন্ধ করা উচিত, এমনটাই দাবি ছিল প্রিয়ার। বম্বে হাইকোর্টের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে, সঞ্জয় গান্ধী যে আসলে প্রিয়ার বাবা তা এখনও প্রমাণ হয়নি। 

অন্যদিকে কোনও ছবিকে যদি সেন্সর বোর্ড ছাড়পত্র দেয়, তাহলে সে বিষযে কোর্টের হস্তক্ষেপ করার পরিধি অনেকটাই কমে যায় কারণ কোনও ছবি মুক্তি পাবে কি না পাবে তা কোর্টের থেকে ভাল বিচার করতে পারে সেন্সর বোর্ড। এবার এই বিষয়ে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। 

আদালতের রায়ে জানানো হয়, কারওর ব্যক্তিগত মানহানির থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ মানুষের সত্যিটা জানা। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে উচ্ছ্বসিত পরিচালক মধুর ভান্ডারকর। মধুরের মতে, ভারতে যে এখনও মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে, শিল্পীর স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা রয়েছে তা আবারও প্রমাণিত হল এই রায়ের মধ্যে দিয়েই। 

অন্যদিকে প্রিয়া জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট মধুরকে ছাড়পত্র দিলেও তিনি হেরে যাওয়ার পাত্রী নন, খুব দ্রুত মধুর ভান্ডারকরের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করবেন তিনি। আপাতত সেন্সর বোর্ড থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট অবধি ঘুরে ফেলেছে ইন্দু সরকার। এখন বক্স অফিসে কতটা সফল হতে পারে এই ছবি সেদিকেই তাকিয়ে গোটা বলিউড।

বিডি প্রতিদিন/২৮ জুলাই ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর