২২ আগস্ট, ২০১৭ ১১:১৩

এক নজরে নায়করাজ রাজ্জাক

অনলাইন ডেস্ক

এক নজরে নায়করাজ রাজ্জাক

বাংলা চলচ্চিত্র অঙ্গনের কিংবদন্তি ছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক। সোমবার পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন এ প্রিয় অভিনেতা।
আজ সন্ধ্যায় ৬টা ১২মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ প্রিয় অভিনেতার জীবনালেখ্য একনজরে তুলে ধরা হল-

ডাক নাম : রাজু, রাজ্জাক, রাজা।

পুরো নাম : আবদুর রাজ্জাক।

উপাধি : নায়করাজ (উপাধি দিয়েছিলেন চিত্রালি সম্পাদক আহমেদ জামান চৌধুরী)।

পেশা : অভিনেতা, প্রযোজক, পরিচালক।

জন্ম : ২৩ জানুয়ারি, ১৯৪২।

জন্মস্থান : নাকতলা, টালিগঞ্জ, দক্ষিণ কলকাতা, ভারত।

জাতীয়তা : বাংলাদেশি।

বাবা : আকবর হোসেন।

মা : নিসারুননেছা।

স্ত্রী: খাইরুন্নেছা (ভালোবেসে লক্ষ্মী বলে ডাকতেন)।

সন্তান : বাপ্পারাজ (রেজাউল করিম), নাসরিন পাশা শম্পা, রওশন হোসেন বাপ্পি, আফরিন আলম ময়না, খালিদ হোসেইন সম্রাট।

অভিনয়ের শুরু : কলকাতার খানপুর হাইস্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন সরস্বতীপূজায় মঞ্চনাটকে। গেম টিচার রবীন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
তাঁকে বেছে নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। প্রথম অভিনীত নাটক বিদ্রোহী।

সিনেমায় প্রবেশ : কলেজ জীবনে ‘রতন লাল বাঙালি’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে। এ ছাড়া কলকাতায় ‘পঙ্কতিলক’ ও ‘শিলালিপি’ নামে আরও দুটি সিনেমায় অভিনয় করেন।

বাংলাদেশে আগমন : ১৯৬৪ সালে কলকাতায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার কারণে পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে আসেন।

ঢালিউডে নায়ক হিসেবে প্রথম চলচ্চিত্র : জহির রায়হানের ‘বেহুলা’।

প্রথম নায়িকা : সুচন্দা।

জুটি হিসেবে জনপ্রিয় নায়িকা : কবরী

প্রথম প্রযোজিত ছবি : আকাঙক্ষা

পরিচালক হিসেবে প্রথম ছবি : অনন্ত প্রেম

নায়ক হিসেবে শেষ ছবি : ১৯৯০ সাল পর্যন্ত নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন। শেষ ছবি ‘মালামতি’। নায়িকা ছিলেন নূতন।
চরিত্রাভিনেতা হিসেবে অভিনয় : ১৯৯৫ সাল থেকে।

রাজ্জাকের সেরা প্রাপ্তি : ইউনিসেফের শুভেচ্ছা দূত হওয়া

উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র : ‘এতটুকু আশা’, ‘নীল আকাশের নিচে’, ‘জীবন থেকে নেয়া’, ‘নাচের পুতুল’, ‘পিচঢালা পথ’, ‘আবির্ভাব’, ‘দ্বীপ নেভে নাই’, ‘টাকা আনা পাই’, ‘রংবাজ’, ‘আলোর মিছিল’, ‘অশিক্ষিত’, ‘ছুটির ঘণ্টা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘শুভদা’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’।

পুরস্কার ও সম্মাননা: সেরা অভিনয়ের জন্য এ কিংবদন্তি নায়ক তিনি বেশ কয়েকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৬, ১৯৭৮, ১৯৮২, ১৯৮৪, ১৯৮৮ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। এছাড়া তাকে ২০১৩ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।

পাশাপাশি সেরা অভিনয়ের জন্য নায়করাজকে ২০০৩ ইন্দো-বাংলা কলা মিউজিক পুরস্কার, খান আতাউর রহমান আজীবন সম্মাননা, ২০০৯ বাচসাস আজীবন সম্মাননা (চলচ্চিত্র), ২০১২ ইফাদ ফিল্ম ক্লাব আজীবন সম্মাননা, একই বছর ব্যাবিসাস আজীবন সম্মাননা ও ২০১৪ মেরিল প্রথম আলো আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর