২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৭:১০

আড়াআড়িভাবে বিভক্ত রজনীকান্ত-কমল হাসান

অনলাইন ডেস্ক

আড়াআড়িভাবে বিভক্ত রজনীকান্ত-কমল হাসান

ফাইল ছবি

একজন দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার আর একজন তামিল সিনেমার সুপারস্টার। যাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল সম্প্রতি একমঞ্চেও। ভক্তকুল ভেসেছিল সেদিনের জলসায়। যার নেতৃত্বে ছিল ডিএমকে। কিন্তু তাতে সবকিছু এক হয়ে যায়নি। সেটা এবার বুঝিয়ে দিলেন তামিল সিনেমার সুপারস্টার রজনীকান্ত। 

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির সমর্থনে রজনীকান্ত টুইট করেছেন। আর তা নিয়ে জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে রীতিমত হইচই শুরু হয়ে গেছে। কারণ সম্প্রতি দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার কমল হাসান দিল্লির আম আদমি পার্টি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ঠিক তারপরই রজনীকান্তের এই টুইট তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তাকে ভাঙিয়ে তামিলনাড়ুর রাজনীতিতে শক্ত ভিত গড়তে চাইছে বিজেপি বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
 
‌রজনীকান্ত সেই টুইটে লিখেছেন, ‘‌আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির স্বচ্ছতা হি সেবা প্রকল্পে পূর্ণ সমর্থন রইল আমার। পরিচ্ছন্নতাই ঈশ্বরসেবা।’‌ চলতি সপ্তাহেই বিভিন্ন ক্ষেত্রের খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি, নামী পরিচিত লোকজনকে নিজে চিঠি দিয়ে তাঁর স্বচ্ছতা কর্মসূচির প্রতি সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী। 

সেই চিঠিতে মহাত্মা গান্ধীকে উদ্ধৃত করে মোদি লিখেছেন, ‘‌আমাদের প্রত্যেকেরই স্বচ্ছতা নিয়ে চর্চা করা উচিত। আগামী ২ অক্টোবর গান্ধীজির জন্মজয়ন্তী। তার প্রাক্কালে দেশের সর্বত্র স্বচ্ছতা অভিযানে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে উৎসাহ জোগাতে হবে।’‌ 

আর তাতেই সাড়া দিয়ে রজনীকান্ত এই টুইট করেছেন। ফলে তার অগনিত ভক্তদের মধ্যে প্রশ্ন জেগেছে সত্যিই রাজনীতিতে নামতে চলেছেন রজনীকান্ত। এখন তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে দলের ঘরোয়া লড়াই চরমে উঠেছে। সেখানে বিজেপি, আপ–সহ একাধিক দল দক্ষিণের এই রাজ্যে ঘোলা পানিতে মাছ ধরতে চাইছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

সাম্প্রদায়িকতা এবং দুর্নীতি মোকাবিলায় কমল হাসানকে সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। তাতে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি দক্ষিণী সিনেমার মেগাস্টার কমল হাসান। কেজরিওয়াল তার সঙ্গে দেখা করায় তিনি সম্মানিত বলে জানান। 

কমল হাসান আগে বলেছিলেন, রজনীকান্ত কখনও রাজনীতিতে এলে তিনি তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করতে চান। কিন্তু সাম্প্রতিক দুই নক্ষত্র তারকার পৃথক পৃথক রাজনৈতিক লাইন সেই দাবিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।  ‌


বিডি-প্রতিদিন/ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭/ তাফসীর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর