শিরোনাম
১৬ অক্টোবর, ২০১৭ ১৬:৫৪

জিতেন্দ্র-হেমার বিয়েটা ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্রই!

অনলাইন ডেস্ক

জিতেন্দ্র-হেমার বিয়েটা ভেঙেছিলেন ধর্মেন্দ্রই!

জিতেন্দ্রর সঙ্গে প্রায় বিয়ে হয়েই গিয়েছিল হেমা মালিনীর। এমন সময় দৃশ্যপটে হাজির হেমার প্রেমিক ধর্মেন্দ্র। তাও আবার মদ্যপ অবস্থায়। তখন হেমার বাবা ধাক্কা দিয়ে ধর্মেন্দ্রকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। তবে তার একটি অনুরোধ ফেলতে পারেননি। তার কথা মতো আলাদাভাবে ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে হেমার সঙ্গে সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। 

নাম শুনে এতক্ষণ অবশ্য বুঝতে বাকি নেই যে তিনজনই ভারতীয় চলচ্চিত্রের পরিচিত শিল্পী। যাদের বিয়ের গল্পটা অনেকটা আবার সিনেমার গল্পের মতোই। তবে সেটা সত্যি সিনেমা নয়, বাস্তবেই এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা।

হেমার পরিবারের লোকেরা চেয়েছিলেন জিতেন্দ্রের সঙ্গে হেমা মালিনীর বিয়ে দিতে। কারণ ধর্মেন্দ্রের সঙ্গে প্রেমের কথা হেমা কোনোদিনই তাঁর পরিবারে জানাননি। সেই অনুযায়ী জিতেন্দ্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজনও করা হয়। মাদ্রাজে আয়োজন করা সেই বিয়ের আসরে ধর্মেন্দ্র পৌঁছে বিয়ে ভেঙেছিলেন।

সোমবার হেমা মালিনীর ৬৮তম জন্মদিন। নায়িকার জীবনের এই বিশেষ দিনেই প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর জীবনী। লেখক রাম কমল মুখোপাধ্যায়। বইটির নাম ‘বেয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্ল’।

হেমা মালিনীর বায়োগ্রাফির কভার। ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন নায়িকা নিজেই। 
হেমা মালিনীর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় নিয়ে লেখা হয়েছে বইটি। জীবনীর একটি বিশেষ অংশে জিতেন্দ্রর সঙ্গে হেমার বিয়ের বর্ণনা রয়েছে। সেই সময় হেমা ও ধর্মেন্দ্রের গভীর প্রেম। আর হেমার পরিবার জিতেন্দ্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন ‘ড্রিম গার্ল’-এর।

হেমার জীবনীতে রয়েছে, মাদ্রাজে ওই বিয়ের রাতে প্রেমিকার বিয়ে ভাঙতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। মদ্যপ অবস্থায়। হেমার বাবা নাকি ধাক্কা দিয়ে ধর্মেন্দ্রকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, ‘‘কেন তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছ না? তুমি এক জন বিবাহিত পুরুষ, তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পার না।’’

ধর্মেন্দ্র সেই সময় একবার হেমার সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলতে চেয়েছিলেন। অনুরোধ করেছিলেন হেমার বাবার কাছে। একদিকে হেমা মালিনীর পরিবার, অন্যদিকে জিতেন্দ্রর পরিবার। হাজির ম্যারেজ রেজিস্ট্রার। সেই পরিস্থিতিতে হেমা মালিনীর বাবা ধর্মেন্দ্রকে হেমার সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার অনুমতি দিয়েছিলেন।

বিয়েবাড়ির একটি ঘরে ঢুকে বেশ কিছুটা সময় একান্তে কথা বলেছিলেন হেমা ও ধর্মেন্দ্র। হেমাকে নাকি ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, ‘‘জীবনে এত বড় ভুল কোরো না।’’

কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন হেমা। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত সবার কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তাঁকে বিয়ের জন্য আরও ক’দিন সময় দিতে।

সেই সময় নাকি জিতেন্দ্র ও তাঁর পরিবার হেমার কথায় রাজি হননি। তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, জিতেন্দ্র একজন ‘অপশন’ নন। বিয়ে হলে তখনই হবে নয়তো কখনোই না।

বিয়েবাড়িতে হাজির সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন হেমা মালিনীর উত্তরের জন্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে হেমা মাথা নাড়িয়ে না বলে দিয়েছিলেন। নিমেষে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র ও তাঁর পরিবার।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

বিডি-প্রতিদিন/১৬ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর