২২ জানুয়ারি, ২০১৮ ১৮:১৩

জিৎ-ফারিয়ার 'ইনস্পেক্টর নটি কে' বিরক্তিকর ভাঁড়ামো: আনন্দবাজার

অনলাইন ডেস্ক

জিৎ-ফারিয়ার 'ইনস্পেক্টর নটি কে' বিরক্তিকর ভাঁড়ামো: আনন্দবাজার

জিৎ-নুসরাত ফারিয়া অভিনীত 'ইনস্পেক্টর নটি কে' ছবিটি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দর্শকদের মধ্যে অনেক আগ্রহ ছিল। যৌথ প্রযোজনার ছবির নীতিমালা-প্রিভিও কমিটি সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পেলেও ঢাকায় মুক্তি পায়নি। তবে ছবিটি আমদানি করে ঢাকাতেও মুক্তি দেয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু যে আগ্রহ থেকে এত সব কিছু তাতে জল ঢেলে দিয়েছে ছবির দুর্বল নির্মাণ। শুধু তাই নয়, নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার অভিনয়ের দুর্বলতা, জিতের প্রশ্নবিদ্ধ অভিনয় আর কমেডি, সম্পাদনা ও কাহিনীর দুর্বলতার কারণেও ছবিটি থেকে কলকাতার দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় দৈনিক আনন্দবাজার। 

'ইনস্পেক্টর নটি কে' পরিচালনা করেছেন কলকাতার নির্মাতা অশোক পাতি। আনন্দবাজার পত্রিকা চলচ্চিত্রটি পর্যালোচনা করে লিখেছে, 'পুলিশ ইনস্পেক্টরদের নিয়ে টালিউডে অনেক ছবি তৈরি হয়েছে। সেই তালিকায় একেবারে নীচের সারিতে থাকবে এই ছবি। কাহিনি দুর্বল তো বটেই, রোমান্টিক কমেডি ছবির মজা কিংবা রোম্যান্স কোনোটাই প্রত্যাশা পূরণ করে না। বরং কমেডি তো কখনও কখনও ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়ায়। ভাঁড়ামো দিয়ে কি দর্শকের মন জয় করা যায়?'

১০ এর মধ্যে ছবিটিকে আনন্দবাজার রেটিংস দিয়েছে মাত্র ৩। তারা আরও লিখেছে, নব্বইয়ের দশকের সিনেমার মতোই এই ছবির ট্রিটমেন্ট। কিন্তু তাতে কোনও নতুনত্ব নেই। বিনোদন উপহার দিতেও ব্যর্থ। বরং গোটা ছবি জুড়ে এত অসঙ্গতি যা বিরক্তির জাগায়। বিশেষত, ইতালিতে সেখানকার পুলিশ যখন চোরের স্বীকারোক্তি পেতে ব্যর্থ, সেই সময়ে নায়কের লাঠির ঘায়ে চোরের দোষ স্বীকার একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল না? এর সঙ্গে সম্পাদনার ব্যর্থতা অহেতুক দীর্ঘায়িত করেছে এই সিনেমাকে।

গল্পে দেখা যায়, চমকাইতলার নটবর ওরফে নটি (জিৎ) পুলিশ ইন্সপেক্টর হওয়ার জন্য শর্তমতো পাড়ি দেয় ইতালিতে। সেখানে সামিরার (নুসরাত ফারিয়া) প্রেমে পড়ে নটি। তবে সামিরা মোটেই পছন্দ করে না নটিকে। সে ভালবাসে অন্য একজনকে। তবে চিরাচরিত ছক মেনেই নটে গাছ মুড়োনোর মতোই শেষ পর্যন্ত নায়ক-নায়িকার মিলন হয়। সামিরাকে দেশে ফিরিয়ে আনে নটি।

শুধু দর্শকদেরও নয়, ছবিটি নিয়ে প্রত্যাশা ছিল বাংলাদেশি নায়িকা নুসরাত ফারিয়ারও। যৌথ প্রযোজনার ছবিতে তুলনামূলকভাবে তিনিই কাজ করেছেন বেশি। কলকাতাতেও তার দর্শক তৈরি হয়েছে। ছবিতে সিংহভাগ সময়েই স্ক্রিন জুড়ে জিতের সঙ্গে তাকেও দেখানো হয়েছে। আনন্দবাজার লিখেছে, জিৎ-ফারিয়া গল্পের দুর্বলতা ঢাকতে ব্যর্থ। দু’জনের রসায়ন একেবারেই দানা বাঁধেনি। ছবির মিউজিকও নজর কাড়ে না। দর্শকমহলে জিতকে নিয়ে উন্মাদনা থাকলেও তার উপযুক্ত মর্যাদা কি দিতে পারলেন তিনি? বিশেষত, কিছু ক্ষেত্রে জিতের কমেডি নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি নুসরাতের অভিনয়ও যথেষ্ট দুর্বল।

বিডি প্রতিদিন/২২ জানুয়ারি, ২০১৮/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর