২৪ জানুয়ারি, ২০১৮ ০৯:০৬

বাচ্চাটাকেও দেখতে দিল না অপু

বাচ্চাটাকেও দেখতে দিল না অপু

হায়দরাবাদ, ব্যাংকক আর অস্ট্রেলিয়ায় ছবির কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঢালিউডের নবাব শাকিব খান। রবিবার রাতে দেশে ফিরে সোমবার রাতেই আবার শুটিংয়ে অংশ নিতে উড়াল দেন অস্ট্রেলিয়ায়। দেশ ছাড়ার আগে তার ব্যস্ততা ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কথা বলেন বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে। লিখেছেন- আলাউদ্দীন মাজিদ

প্রায় দেড় মাস পর ফিরলেন, কেমন লাগছে?

দেশে এলে অবশ্যই ভালো লাগে, নিজের মাতৃভূমির চেয়ে শান্তির জায়গা আর কোথাও নেই। কিন্তু কী করব, ছবির কাজে বাইরে যেতেই হয়। তারপরও চেষ্টা করি সময় পেলেই দেশে ফিরতে।

তাহলে দেশের টানে আবার ফেরা?

না, অস্ট্রেলিয়ায় আশিকুর রহমানের ‘অপারেশন অগ্নিপথ’ ছবির শুটিং আছে, ২২ জানুয়ারি রাতেই রওনা দিতে হবে। দেশের টান তো আছেই, তাছাড়া কয়েক দিন ধরে বাচ্চাটার জন্য মনটা খুব কাঁদছিল। তাই তাড়াহুড়ো করে অল্প সময় নিয়ে জয়কে দেখতে এসেছি। কিন্তু মনে বড় কষ্ট নিয়ে ফিরে যাচ্ছি। অপু বাচ্চাটাকে দেখতে দিল না আমাকে।

কেন দেখতে দেয়নি?

তা তো জানি না, আমার লোকজন অনবরত অপুর মোবাইলে কল দিয়েছে, সে কোনোভাবেই কল রিসিভ করেনি। মেসেজ দিয়েছে, তাতেও সাড়া দেয়নি। বাচ্চাটার জন্য অনেক শপিং করে এনেছিলাম। সব ফেলে যাচ্ছি।

আপনি জয়কে দেখতে অপুর বাসায় যাননি?

না, ওর বাসায় এখন আর আমি যাই না।

১২ ফেব্রুয়ারি সিটি করপোরেশনে ডিভোর্সের বিষয়ে আবার আপনাদের ডাকা হয়েছে, এবার কি উপস্থিত হবেন?

মনে হয় না। তখনো দেশের বাইরে শুটিংয়ের শিডিউল রয়েছে। তা ছাড়া আমি তো আমার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। এখন যা বলার আর করার তা আমার আইনজীবীই করছেন। এসব নিয়ে এখন আর আমি মাথা ঘামাতে চাই না। এখন শুধু কাজের মধ্যেই ডুবে থাকতে চাই, অন্য কিছু নয়। সংসারের ঝামেলায় কাজের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমার কারণে নির্মাতারা আর ক্ষতিগ্রস্ত হোন তা আর চাই না।

একটি অনলাইন পোর্টাল সংবাদ প্রকাশ করেছে আপনি নাকি বিশেষ মহলের চাপে পড়ে দেশে ফিরেছেন?

দেখুন, আমি কি অপরাধী? নাকি কোনো অপরাধ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছি যে বিশেষ মহলের চাপে আমাকে দেশে ফিরতে হবে? যারা এসব নিউজ করেছে তাদের আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলছি, দ্রুত বিষয়টি আপনাদের প্রমাণ করে দিতে হবে, না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নেব।

আপনার বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশের কারণ কী বলে মনে হয়?

আসলে এটি আমার জনপ্রিয়তা ও আমাকে নিশ্চিহ্ন করার যে ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র চলছে তারই একটি অংশ। না হলে অহেতুক এমন ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করতে যাবে কেন?

যারা এসব করছে তাদের উদ্দেশে কী বলবেন?

যদি কেউ মনে করে থাকে আমার বিরুদ্ধে এ ধরনের নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ করলে তাদের প্রতিষ্ঠানের কাটতি বাড়বে তাহলে তাদের বলব, এমন সস্তা জনপ্রিয়তাই যদি চান তাহলে পর্নো নিউজ করেন না কেন? তাতে তো আপনাদের আশা পূরণ হবে। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলে দিতে চাই, আমার সঙ্গে নোংরামি বা ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। আমি দেশের উন্নয়নে কাজ করছি। দেশীয় চলচ্চিত্রশিল্পের কল্যাণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং আমার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, সব সময় তিনি আমার পাশে আছেন। একজন সরকারপ্রধান যখন আমার পাশে আছেন আর আমি যখন সুষ্ঠুভাবে দেশের উন্নয়নে কাজ করছি তখন এসব বাজে বিষয় নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। আমার দায়িত্ব কর্তব্য আমি জীবন দিয়ে হলেও পালন করে যাব। এমন কোনো শক্তি নেই যারা ষড়যন্ত্র করে আমার কাজের গতি রোধ করতে পারবে। আরেকটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো আমার পাশে রয়েছেনই, দেশের মানুষও আমাকে মনেপ্রাণে ভালোবাসেন। তা না হলে এত বাধাবিঘ্ন সত্ত্বেও আমার ছবি তারা দেখত না। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে এখন আমার ছবি দর্শক আগ্রহ নিয়ে পরম ভালোবাসায় দেখছে। এর সাম্প্রতিক প্রমাণ ‘নবাব’ ছবিটি। এই ছবিটির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে প্রথম কোনো বাংলা ছবি মুক্তি পেল এবং দর্শক তা সাদরে তা গ্রহণ করল। তাই আবারও বলছি, আমাকে জুজুর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর