১৬ আগস্ট, ২০১৮ ১১:২০

৬০ বছরে পা রাখলেন ম্যাডোনা

অনলাইন ডেস্ক

৬০ বছরে পা রাখলেন ম্যাডোনা

সংগৃহীত ছবি

ম্যাডোনা লুইস। মার্কিন এই পপসম্রাজ্ঞীর আজ ৬০তম জন্মদিন। আর এই ৬০ বছরের ৩৫ বছরই তিনি কাটিয়েছেন সংগীতজগতে। ম্যাডোনার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৮৩ সালে। এরপর এখন পর্যন্ত তার বিভিন্ন অ্যালবাম বিক্রি হয়েছে ৩০ কোটির বেশি। এর মাধ্যমে ম্যাডোনা গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন। তিনিই এখন ইতিহাসে বেস্ট সেলিং নারী রেকর্ডিং সংগীতশিল্পী। 

বয়স বাড়লে নারী শিল্পীরা আকর্ষণ হারান— এমন ধারণাকে ম্যাডোনা তার ক্যারিয়ারে ভুল প্রমাণ করে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে ম্যাডোনা নিজেই মানুষের এই ধারণাটি নিয়ে বলেছিলেন, ‘বয়স বাড়া যেন পাপ।’ ম্যাডোনা তার জীবনে অনেক মাইলফলক অর্জন করেছেন। চলুন তেমন কিছু বিষয় জেনে নেয়া যাক—

ম্যাডোনা আমেরিকার সবচেয়ে ধনী নারী সংগীতশিল্পী। ফোর্বসের হিসাবমতে, ম্যাডোনার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫৮০ মিলিয়ন ডলার বা  প্রায় ৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা। তার পেছনে আছেন সেলিন ডিওন এবং তিনি ম্যাডোনার চেয়ে ২০০ মিলিয়ন ডলারের বিরাট ব্যবধানে পিছিয়ে। উল্লেখ্য, ডিওন কানাডীয় হলেও তার আয়ের মূল উৎস যুক্তরাষ্ট্র।

ম্যাডোনার সুপার বোল পারফরম্যান্স ছিল রেকর্ড ভাঙা। ১৯৮০-এর দশকে গুগল ছিল না। তাই সে সময়ে মানুষ কী বিষয় নিয়ে আগ্রহী ছিল, তা নিয়ে  এখন ভালো জানা যায় না। ২০১০ থেকে ম্যাডোনাকে গুগলে খোঁজার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। ২০১২ সালের মার্চে সেটা সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছায়। ২০০৪ সালে সুপার বোলে জ্যানেট জ্যাকসনের পোশাক বিভ্রাটের পর ম্যাডোনাই প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে সুপার বোলে হেডলাইনার হিসেবে পারফর্ম করেন। সে সময়ই ইন্টারনেটে ম্যাডোনাকে খোঁজার ঝড় উঠেছিল।

ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে ম্যাডোনা সবচেয়ে বেশিবার স্থান পাওয়া নারী শিল্পী। ম্যাডোনার গাওয়া ৪৬টি সিঙ্গেল ইউকে চার্টের সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছে। এক্ষেত্রে ম্যাডোনার চেয়ে এগিয়ে আছেন মাত্র একজন, তিনি এলভিস প্রিসলি। সেরা পাঁচে থাকার এই সাফল্য ম্যাডোনা ধারাবাহিকভাবে তিন-তিনটি দশক ধরে পেয়েছেন ১৯৮০, ১৯৯০ ও ২০০০-এ। 

স্পটিফাইয়ের জরিপে ম্যাডোনার সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো যথাক্রমে লাইক আ ভার্জিন, হাঙ আপ, হলিডে, লা ইসলা বোনিতা, লাইক আ প্রেয়ার।

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর