ইট-কাঠ-পাথরের নাগরিক জীবনে বন্দী এক নারীর গল্প নিয়ে মঞ্চস্থ হয়ে গেল একক নাটক ‘একা এক নারীর’ প্রথম প্রর্দশনী। শিল্পকলা একাডেমীর মঞ্চে অভিনেত্রী তনিমা হামিদের অনবদ্য অভিনয়ে উঠে এল নারীর এক অব্যক্ত অধ্যায়। যা উঠে শত শত বছর ধরে বঞ্চিত নারীর প্রতিকৃত।
নাট্যচক্রের ৫৪ তম প্রযোজনায় একক নাটক ‘একা এক নারী’র নির্দেশনা দিয়েছেন দেবপ্রসাদ দেবনাথ। ইতালির নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক নাট্যকর ও অভিনেতা দারিও ফো এবং ফ্রাংক রামে রচিত এ উমেন এ্যালোন নাটকটি অনুবাদ করেছেন অধ্যাপক আবদুস সালাম।
উদ্বোধনী মঞ্চায়নে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। তিনি বলেন, ছোটবেলা থেকেই নাটকের মধ্যে বড় হয়েছে তনিমা। তার এই অর্জন আমাদের জন্য আনন্দের। বাংলাদেশে একক নাটকের পুরোধা অভিনেত্রী ফেরদৌসি মজুমদার নাটকটি উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, মিলনায়তন ভর্ত্তি এত দর্শক দেখে ভালো লাগছে। তনিমা প্রথম কোনো নাটকে একক অভিনয় করছে। তার জন্য শুভকামনা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ম.হামিদ। নাটকটির আলোক পরিকল্পনা করেছেন নাসিরুল হক খোকন, সাউন্ড ডিজাইন করেছেন আহসান রেজা খান তুষার, মঞ্চ পরিকল্পনা করেছেন জুনায়েদ ইউসুফ, পোশাক পরিকল্পনা করেছেন আইরিন পারভীন লোপা।
নগর সংস্কৃতির আধুনিক জেল-একটি বহুতল ভবনের ফ্ল্যাটে তালাবদ্ধ নিঃসঙ্গ নারী মারিয়া সংলাপের পরে সংলাপ সাজিয়ে তার দুঃখ, নির্যাতন, সহ্য-অসহ্য,ভালবাসা, আশা-নিরাশার দোলাচালে গেঁথে নিয়ে চলেন দর্শকদের। নিত্যদিনের গৃহস্থালী কাজ, অশ্লীল ভীতিপ্রদ ফোন, বিপরীত ফ্লাটের যৌনবিষয়ে অতি উৎসাহী তরুনের সংগোপন বাইনোকুলার দৃষ্টি, কামাতুর দেবর আর সদা ক্রন্দনরত শিশুসন্তানের মোকাবেলা করতে থাকা এই নারী তার কথাগুলো দর্শকদের সাথে ভাগাভাগি করে নেন।
সময় বদলেও যে গল্পগুলো একই থেকে যায় ‘এক একা নারী’ তেমনই একটি প্রাসঙ্গিক উপস্থাপনা হয়ে আন্দোলিত করেছে দর্শকদের। সময় বদলায় গল্পগুলো একই থেকে যায়। অভিনেত্রী তনিমা হামিদ তেমন এক অধ্যায়কে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করেছেন দর্শকদের সামনে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসীর