১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭ ০৩:১৮

ভিয়েনায় বাংলাদেশিদের বিজয় দিবস উদযাপন

এম. নজরুল ইসলাম, ভিয়েনা (অষ্ট্রিয়া থেকে):

ভিয়েনায় বাংলাদেশিদের বিজয় দিবস উদযাপন

ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান বিজয়ের ৪৭তম দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনা। 

অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার হউফসাইলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, রাষ্ট্রদূত মো. আবু জাফর, সঞ্চালনা করেন, কাউন্সেলর ও চ্যান্সারী প্রধান রাহাত বিন জামান।

সকাল ১০.৩০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্র্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন, রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, দূতাবাসের কাউন্সেলর ও চ্যান্সারী প্রধান রাহাত বিন জামান। মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন, দূতাবাসের প্রথম সচিব মিস মালিহা শাহজাহান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকার কর্মী, লেখক, সাংবাদিক এম. নজরুল ইসলাম, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর রহমান নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কবির, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অষ্ট্রিয়া ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার বায়েজিদ মীর, বাংলাদেশ দূতাবাস ভিয়েনার অনারারি কাউন্সেলর মি. ভলফগাং উননিনগার, অষ্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, শিল্পী আবুল কালাম, মুক্তিযোদ্ধা সামসুল হুদা চৌধুরী, ফিরুজ আহমেদ, রতন সাহা প্রমুখ।

রাষ্ট্রদূত মো: আবু জাফর তাঁর বক্তব্যে মহান বিজয় দিবসের এই রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের জন্য সমবেত সুধীজনকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি স্বাধীনতা লাভে বাঙালির আত্মত্যাগ এবং স্বাধীনতা উত্তরকালে এযাবত দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রবাসে সকলকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে এম. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব স্বপ্নে তারিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের প্রাণের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তাঁদের সেসব স্বপ্ন আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পূরণ হচ্ছে।’  তিনি বলেন, ‘বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে আনন্দের ও গৌরবের দিনে আমাদের প্রত্যয় হোক সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ধরে এগিয়ে যাওয়া।’

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানের শেষে বাংলাদেশের সুখ, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন, দূতাবাসের সহকারী কনস্যুলার জুবায়দুল হক চৌধুরী। আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

বিডিপ্রতিদিন/ ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৭/ ই জাহান

সর্বশেষ খবর