ইস্ট লন্ডনে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে ২৭ বছর বয়সী আরিফ খান নামে এক বাঙালি যুবককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ওল্ডবেইলি কোর্টে দোষী সাব্যস্তের পর আরিফকে ৫ বছর ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন।
আদালত জানিয়েছে, গত বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের শিকার কিশোরীকে এডমন্টনের একটি হোটেলে নিয়ে যান আরিফ খান। হোটেল রুমে ধর্ষণের আগে কিশোরীকে মদ খাওয়ান আরিফ।২৩ শে ফেব্রুয়ারি কিশোরীর পক্ষ থেকে ধর্ষণের ঘটনা পুলিশকে জানানো হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে চাইল্ড এবিউস এন্ড সেক্সুয়াল অফেন্স টিম। তদন্ত শুরুর ৬ দিন পর এডমন্টন পুলিশ স্টেশনে গিয়ে হাজির হন আরিফ খান। তিনি ১৬ বছরের কিশোরীর সঙ্গে হোটেল রুমে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের কথা স্বীকার করেন। তবে কিশোরীর সম্মতিতেই যৌন মিলন হয়েছে বলে দাবী করেন আরিফ।
তবে তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলেছেন, যৌন সম্পর্ক স্থাপনের উদ্দেশ্যেই তাকে হোটেলে নেওয়া হয়েছিল। একে চাইল্ড সেক্সুয়াল এক্সপ্লোয়েটেশন সংক্ষেপে সিএসই বা শিশু যৌন নিপীড়ন বলে বলে উল্লেখ করে তারা।
শিশু যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষার জন্যে নিচের বিষয়গুলো বিবেচনা করার জন্য অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ।
অপরিচিত বয়স্করা খাবার কিনে দিয়ে কিশোর বা কিশোরীর বন্ধু হবার চেষ্টা করবে।
কিশোর বা কিশোরীকে দিনে-রাতে অস্বাভাবিক বা উদ্ভট সময়ে হোটেলে বা নিরব, নির্জন কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া।
কোন বয়স্ক লোক যদি একই জায়গায় একেক দিন একেক জন অর্থাৎ ভিন্ন কিশোর বা কিশোরীকে নিয়ে আসে।
কোন কিশোর বা কিশোরী যদি কোথায় গিয়েছিল এবং কার সাথে গিয়েছিল এসব গোপন করে।
এমন কি ঘরের মধ্যেও কোন কিশোর- কিশোরী অস্বাভাবিক বা অস্বস্তিবোধ করে।
উপরের বিষয়গুলো যে কারে চোখে ধরা পড়লে তা পুলিশকে জানাতে আহ্বান করা হয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন