২ জানুয়ারি, ২০১৭ ১৬:০৬

'বাঁশ' নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়

অনলাইন ডেস্ক

'বাঁশ' নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়

গেল বছর গাইবান্ধায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মান কাজে রডের পরিবর্তে বাঁশ ব্যবহার করায় চারিদিকে হৈ চৈ শুরু হয়। প্রায় একই সময়ে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনায় নির্মাণাধীন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৫ তলা ভবনের কংক্রিট ভেঙে রডের বদলে বাঁশের অস্তিত্ব মেলে। এ নিয়ে চিঠি চালাচালি, তদন্ত কমিটি, কাজ স্থগিত, প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা বরখাস্ত- অনেক কিছুই হয়েছে। এবার রেল সেতুর স্লিপারে রড বা পাতের বদলে বাঁশ ব্যবহারের খবর সামনে এলো। সিলেট-আখাউড়া রেলপথের কুলাউড়া উপজেলার ২০৬নং মনু রেলসেতুর নষ্ট হওয়া স্লিপারের সংস্কার কাজে লাগানো হয়েছে বাঁশ। এ খবর মিডিয়ায় আসতেই ফের হৈ চৈ শুরু হয়েছে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

রাতুল নামে একজন ফেসবুকে বাঁশঝাড়ের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, 'বাঁশের এই আকালেও বেড়েছে পরিবেশবান্ধব বাঁশের ব্যবহার। বিভিন্ন স্থাপনার পর এবার বাঁশ জায়গা করে নিয়েছে রেললাইনে।'

মিসবাহ হাবীব নামে একজন লিখেছেন, 'বাঁশ চাষে আসবে সমৃদ্ধি।'

অথৈ নাজ লিখেছেন, 'করবো মোরা বাঁশ চাষ, থাকবো সুখে বারোমাস।'

অহনা লিখেছেন, 'এভাবে সকল দালান-কোটা, রেললাইনে বাঁশ ব্যবহার শুরু করলে কবর দিতে বাঁশ পাওয়া যাবে না। তখন কবরে রড ব্যবহার করতে হবে।'
রেলসেতুতে বাঁশ ব্যবহারের খবরটি সামনে আসতেই এভাবে নানা ব্যঙ্গাত্মক পোস্টে ছেয়ে গেছে ফেসবুক।

রেল সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-আখাউড়া রেলপথের কুলাউড়া উপজেলার ২০৬নং মনু রেলসেতুর কাঠের অর্ধেক স্লিপার নষ্ট  হয়ে গেছে। সেতুটির ওপর দিয়ে ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করে। সেতুটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার (কী পয়েন্ট ইনস্টলেশন বা কেপিআই) মধ্যে পড়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে স্লিপারগুলো মেরামতের উদ্যোগ দেয়া হয়েছে।

সংস্কার কাজে দায়িত্বরত কীম্যান আব্দুর রহমান জানান, স্লিপারগুলো অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। ট্রেন চলাচলের সময় ঝাকুনিতে নাটবল্টু খুলে স্লিপারগুলো সরে যায়। দিনে ২-৩ বার এসে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখতে হয়। কোথাও ত্রুটি থাকলে সারাতে হয়।
 
সরেজমিনে দেখা যায়, মনু নদীর ওপর প্রায় ৩০০ মিটার দৈর্ঘ্যের এ সেতুতে ২০৮টি স্লিপার রয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেক স্লিপার নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানচ্যুত না হতে ওই নষ্ট স্লিপারের ওপর ফালি করা বাঁশ রেখে পেরেক ঠোকা হচ্ছে।
 
কুলাউড়া লোকোশেডের ট্রেনচালক নাজমুল হক জানান, ট্রেন চালানোর সময় রেল লাইনের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। কোনো কারণে স্লিপার লাইনচ্যুত হয়ে গেলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
 

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর