শিরোনাম
১ জুন, ২০১৭ ১৫:৫৩

একটি ফ্যানের দাম কেন এক লাখ টাকা...

আশরাফুল আলম খোকন

একটি ফ্যানের দাম কেন এক লাখ টাকা...

এই সরকার লুটেরা। বাতাস দেয়ার একটা সাধারণ ফ্যান কিনে এক লাখ টাকা দিয়ে। এই রকম একটি প্রচারণা কিছুদিন সোশ্যাল মিডিয়া গরম করে রেখেছে। সংবাদটি প্রকাশ করেছিল একটি প্রথম সারির পত্রিকা। সংবাদটি দেখে আমিও অবাক হয়েছি। বর্তমান সরকার প্রধান শেখ হাসিনা'র প্রতি অনেক আস্থা ও বিশ্বাস থেকেই এই সংবাদটি বিশ্বাস করিনি।

তাই খোঁজ খবর নেয়া শুরু করলাম, সাধারণ ফ্যানের দাম কেন এক লাখ টাকা হবে। খুঁজতে গিয়ে যা পেলাম তাতে সংবাদ ও সাংবাদিকতার প্রতি রাখা শ্রদ্ধা'টা প্রশ্নবিদ্ধ হলো এবং এই সংবাদ নিয়ে আমাদের সুশীল সমাজের একাংশের ব্যাপক প্রচারণায় তাদের প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হলো।

প্রস্তাবিত 'মর্ডানাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কিং ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি (এমওটিএন)' প্রকল্পটি ১৮০০ কোটি টাকার , যা দিয়ে সারাদেশে ৪৫০টি টেলিফোন একচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে। সেই হিসাবে একটি একচেঞ্জ হবে চার কোটি টাকার। সরকারের এই সম্পদটুকু রক্ষার জন্যই এক লাখ টাকার ফ্যানের কথা বলা হয়েছে।

প্রকল্পটি এখনো সরকার গ্রহণ করেনি, পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। এখনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা পর্যায়ে রয়েছে। কিন্তু এর আগেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বচ্ছ ইমেজকে কালিমা লিপ্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে স্বাধীনতা বিরোধী একটি কুচক্রী মহল।

এখন আসুন দেখি এই ফ্যানের দাম কেন এক লাখ টাকা। প্রথমেই বলে রাখি এই ফ্যান কিন্তু বাসা বাড়িতে লাগানো সাধারণ ফ্যান নয় ...

# প্রথমত : এই ফ্যানটি পারিপার্শ্বিক তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে রুমটি'র আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করবে যেখানে চার কোটি টাকার যন্ত্রটি স্থাপন করা হবে। 

# অটোমেটিকভাবে যন্ত্রটির তাপমাত্রা নির্ধারণ করে সেই অনুযায়ী ঠাণ্ডা বাতাস দিবে।
 
# যন্ত্রটির ভিতর যাতে কোনো রকম ধূলাবালি ঢুকতে না পারে, শুকিয়ে না যায় সেই ব্যবস্থা করবে।
 
# তাপমাত্রা বেড়ে মেশিনটি যাতে আগুন লেগে পুড়ে না যায় সেই ক্ষমতা এই ফ্যানটির রয়েছে। অর্থাৎ কোনো কারণে তাপমাত্রা বেড়ে গেলে অটোমেটিক যন্ত্রটি বন্ধ করার ক্ষমতা এই ফ্যানটির রয়েছে।
 
# পুরো বিষয়টিই অটোমেটিকভাবে সিপিও দ্বারা মনিটর করে সফটওয়ার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবে।

এই ফ্যানকে বলা বলা হয় ইন্টেলিজেন্ট ভেন্টিলেশন সিস্টেম (আইভিএস)। বিশেষায়িত এই ফ্যানের দাম ক্ষেত্র বিশেষ ২/৩ লাখ টাকাও হয়...

প্রথমত: বিবেচনাধীন এই প্রকল্পটির জন্য কোনোমতেই শেখ হাসিনার ইমেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায় না। এরপরও যারা এই অপচেষ্টা করেছেন তাদেরকে বলবো বঙ্গবন্ধু কন্যার দিকে দুর্নীতির আঙ্গুল তোলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারাটা একটু দেখে নেবেন। যেখানে শুধু নিজের কুৎসিত চেহারাটিই দেখতে পাবেন।

 

(লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত)


বিডি প্রতিদিন/১ জুন, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর