৯ আগস্ট, ২০১৭ ২০:১৩

ছাত্রলীগকে গালাগালি করলে জাতে উঠা যায়!

আশরাফুল আলম খোকন

ছাত্রলীগকে গালাগালি করলে জাতে উঠা যায়!

বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন ছাত্রলীগের নাম শুনলে অনেকেরই গাত্রদাহ হয়। বিএনপি জামায়াতসহ প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর হবে, এটাই স্বাভাবিক। কারণ ছাত্রলীগ সবসময় প্রগতিশীলতার রাজনীতি করেছে। আবার বাম ঘেঁষা প্রগতিশীলদের মধ্যেও একটি গোষ্ঠী আছে, ছাত্রলীগের নাম শুনলেই যাদের গা জ্বালা করে। কারণ ওনারা যখন তত্ত্ব নিয়ে ব্যস্ত, ছাত্রলীগ তখন ছাত্রদের দাবী তথা গণমানুষের অধিকার নিয়ে মাঠে ঘাটে কাজ করেছে। আবার ছাত্রলীগের সমালোচনা করলে জাতে উঠা যায়-এই রকম শ্রেণির লোকজন শুধু দলের বাইরে নয়, দলের মধ্যেই রয়েছে। ছাত্রলীগকে গালিগালাজ করে সুশীলের খাতায় নাম লেখাতে চায়।

যদি হিসাব করে দেখেন, দেখবেন দেশের সব গণত্রান্ত্রিক আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকায় থেকে সবচেয়ে বেশি জীবন দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। আরো দুঃখজনক হলো, আওয়ামী লীগ যখন সরকারি দলে তখনও ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ব্রাশ ফায়ার করে মারা হয়। আর বিরোধী দলে থাকলেতো কথা'ই নেই। হত্যা, নির্যাতনের শিকার সবচেয়ে বেশি তৃণমূল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগ কতটা অসহায় এবং সহনশীল তা গত দুইদিনের পত্রিকার সংবাদের হেডলাইন উল্লেখ করলেই বুঝবেন। আগেরদিন পত্রিকা লিখেছে, ছাত্রলীগের দুই নেতার হাত পা কেটে নিয়েছে "দুর্বৃত্তরা"। পরের দিনের সংবাদ " শিবির সন্দেহে পিটুনি দিয়েছে ছাত্রলীগ। খেয়াল করলে দেখবেন, সংবাদমাধ্যমগুলো "শিবিরকে দুর্বৃত্ত" বলে বাঁচিয়ে দিয়েছে। অথচ পিটুনির ক্ষেত্রেও ছাত্রলীগের নাম উল্লেখ করতে ছাড় দেয়নি।

এতগুলো কথা বলার কারণ, শিবিরের নৃশংসতায় হাত হারিয়ে, ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়ে ঢাকার হাসপাতালে কাতরাচ্ছে সিলেটের ছাত্রলীগের দুই কর্মী। তাদের অপরাধ তারা বিএনপি জামাত অধ্যুষিত একটি কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি চালু করতে চেয়েছিলো। তারা এখন এতটাই অসহায় যে উল্লেখ করার মত কোনো বড় নেতা মন্ত্রী এমপিরাও তাদের দেখতে যাননি। কেন্দ্রীয় সভাপতি / সাধারণ সম্পাদক গিয়েছেন।

আর সর্বশেষ ভরসার আশ্রয়স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের দিয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিচ্ছেন। ক্ষমতার অংশীদার হই আমরা সবাই, দায় নিতে হয় শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার।

(লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/ সালাহ উদ্দীন

সর্বশেষ খবর