১৮ অক্টোবর, ২০১৭ ১১:৪৪

স্যারের এতো প্রশংসার কারণ কী?

শরিফুল হাসান

স্যারের এতো প্রশংসার কারণ কী?

শরিফুল হাসান

আমি এখন সাংবাদিকতায় নেই। তারপরেও আপনারা তরুণরা বিশেষ করে বিসিএস ও চাকুরিপ্রার্থীরা নানা বিষয়ে আমাকে ইনবক্সে নক করেন। নানা লেখায় ট্যাগ করেন। সত্যি বলছি আপনাদের কষ্টটা আমি বুঝতে পারি।

একটা বিসিএসের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে প্রস্তুতি, পরীক্ষা দেয়া, এরপর আবার ফল প্রকাশের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা। সবশেষে ভেরিফিকেশন ও গেজেটের অপেক্ষা। এসবের অপেক্ষায় থাকতে থাকতে আপনাদের জীবন থেকে তিন চার বছর চলে যায়।

আমি সব সময় চেয়েছি এই দীর্ঘসূত্রতা কমুক। আর সে কারণেই আমার নিউজ ছিলো তারুণ্যের সময় খেয়ে ফেলছে বিসিএস। আমি চাকুরিপ্রার্থীদের সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করতাম। এরপর আপনাদের সাথে কথা বলে আরও কাছাকাছি যাওয়ার চেষ্টা করতাম। আর আমি নিজে কখনো বিসিএসের লড়াইয়ে যাইনি বলে বা আমার কোন তদবির ছিলো না বলে আমি পিএসসির বিরুদ্ধে লিখতে পারতাম। গৎবাঁধা টাইপ প্রেস রিলিজ থেকে বের হতে চেয়েছিলাম। সে কারণেই কোটা সমস্যা থেকে শুরু করে, দীর্ঘসূত্রতা বা অন্য সমস্যাগুলো নিয়ে লিখেছি।

একটা কথা না বললেই নয়, আমার দশ বছরের পিএসসি নিয়ে নিউজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি বর্তমান চেয়ারম্যান সাদিক স্যারের মতো এতো আন্তরিক মানুষ আমি দেখিনি। নানা সময় আপনাদের ভাবনা, আমার বিশ্লেষন আমি স্যারকে জানিয়েছি সাংবাদিক হিসেবে। স্যার সবসময় ভালোটা নিয়েছেন। স্যারকে বলতাম স্যার বিসিএস উত্তীর্ণ সব ছেলে-মেয়ে চাকরি পাবার যোগ্য। স্যার বিষয়টা অনুধাবন করেছেন বলেই নন ক্যাডারে এতো ছেলে-মেয়ের চাকরি হচ্ছে।

আপনারা কেউ কেউ বলতে পারেন স্যারের এতো প্রশংসার কারণ কী? প্রেক্ষিতগুলো আপনাদের জানা দরকার। তাই এতো কথা। এবার ৩৬তম বিসিএসের ফলাফল প্রসঙ্গে আসি। আমার কাছে আপনারা গত কয়েক মাসে বারবার জানতে চেয়েছেন কবে ফল দেবে। আমি আমার খুব চেনাজানাদের বলেছি, ১৫ অক্টোবর থেকে যে সপ্তাহ শুরু হচ্ছে সেই সময়। আমার মনে হয়েছিল এর আগে করাটা কঠিন। কারণ ৩৬-এর ফল নতুন কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে করার পাশাপাশি ম্যানুয়ালি চেক করা হচ্ছে যাতে শতভাগ সঠিক হয়।

আরেকটা বিষয়, আপনারা যারা দ্রুত ফল চাচ্ছেন তারা মনে রাখবেন অনেকেই ক্যাডার হতে পারবেন না। তারা যেন নন ক্যাডারে চাকরি পান মন্ত্রণালয়গুলোতে, সেই চিঠিও পাঠাচ্ছেন চেয়ারম্যান স্যার। আপনারা অনেকেই আমাকে বলেছেন আপনি নেই কেউ এখন আর সেভাবে নিউজ করে না। আমার আসলেই মন খারাপ হয় আমাদের গণমাধ্যম তরুণদের জন্য বিশেষ করে চাকরি প্রার্থীদের জন্য আরেকটু ভাবে না। ভাবলে প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে অন্যান্য বিষয়ে আরেকটু নিউজ হতো। মাঝে মধ্যে আপনাদের হতাশা দেখে মনে হয়, আমিই আবার নিউজ শুরু করি। যাই হোক নিউজ না করি আপনাদের সর্বশেষ আপডেট জানাই।

‌অাপনা‌দের কথা ভে‌বেই পিএসসির চেয়ারম্যান সাদিক স্যারের সাথে আজ কথা ব‌লে‌ছি। অা‌মি জে‌নেছ‌ি, দ্রুত ফল প্রকাশে চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দিন রাত কাজ করছেন। অাপনাদের প্র‌তি‌দিন গুজব শোনার দরকার নেই। স্যাররা চাইছেন এই সপ্তাহর মধ্যে ফল দিয়ে দিতে। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার এই তিনদিনের মধ্যেই হয়তো সেক্ষেত্রে ফল প্রকাশিত হবে। অার মেধাবী সাধারণ ছে‌লে‌-মেয়েরাই ক্যাডার হ‌বে। আর আপনাদের যাদের ক্যাডার হবে না তাদের জন্য বলি, স্যার নিজে প্রতিটা মন্ত্রণালায়ে চিঠি দিচ্ছেন যাতে তারা বেশি করে শূন্য পদের চাহিদা দেয়।

ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১০ সালের নন ক্যাডার বিধিমালা অনুযায়ী ৫০ ভাগ শূন্য পদে সুপারিশ করার কথা থাকলেও কোনো অধিদপ্তর চাইলে বিশেষ প্রয়োজনে পিএসসি শতভাগ পদে সুপারিশ করবে। আমি মনে করি সেটা হলো বিপুল সংখ্যক ছেলে-মেয়ে চাকরি পাবেন। শেষে এসে আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাই, সাদিক স্যার এবং তাঁর কমিশনের উপর আস্থা রাখুন। অার অা‌মি সবমময় অাপনা‌দের পা‌শে অা‌ছি। সবার জন্য শুভ কামনা।

(১৫ অক্টোবরের স্ট্যাটাস, লেখকের ফেসবুক পেইজ থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/১৮ অক্টোবর, ২০১৭/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর