১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৩:২৬

'অন্তর জ্বালা' নিয়ে ফেসবুকে যে যা বললেন

অনলাইন ডেস্ক

'অন্তর জ্বালা' নিয়ে ফেসবুকে যে যা বললেন

মুক্তির আগে 'অন্তর জ্বালা' প্রসঙ্গে পরীমণি বলেছিলেন চ্যালেঞ্জ নয়, এটা আত্মবিশ্বাস। গতকাল থেকে সেই আত্মবিশ্বাসের কিছুটা প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকের ওয়ালে। কারণ গতকাল দেশব্যাপী ১৭৫টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় মালেক আফসারী পরিচালিত 'অন্তর জ্বালা'। এতে জায়েদ খান ও পরীমণির রসায়ন যে বিক্রিয়া ঘটিয়েছে তা স্ফুটিত হচ্ছে ফেসবুকের ওয়ালে ওয়ালে। বেশিরভাগ দর্শকই ছবিটি এবং এর কলাকুশলীদের প্রশংসা করেছেন। এমনকি যারা কিছুটা সন্দিহান ছিলেন তাদেরও দেখা গেল প্রশংসার মিছিলে। এছাড়া কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও পাওয়া গেছে ফেসবুকে। কিন্তু এগুলোকে ছাপিয়ে গেছে বেগবান হচ্ছে প্রশংসার ট্যাগ ও হ্যাশ। যদিও মাত্র এক দিনের পর্যালোচনা পাওয়া যাচ্ছে তারপরও কেউ কেউ লিখেছেন, 'যে পাখি উড়তে জানে তার ডানা ঝাপটানো দেখলেই বোঝা যায়।'

পরিচালক এন এস বুলবুল বিশ্বাস লিখেছেন, অনেক দিন পর এরকম 'হাউজ ফুল' শো দেখছি #অন্তর_জ্বালা-র। অভিনন্দন পুরা টিমকে।

রিয়েল ইমন নামে একজন ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‌'হাউসফুল, চোখ ভেজালেন দর্শকদের।'

চলচ্চিত্র সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান একদিন আগেও বলেছিলেন, 'অন্তর জ্বালা'র সাফল্য নিয়ে তিনি শংকিত। সিনেমা দেখে এসে তিনি লিখেছেন- 'অন্তর জ্বালা' গল্পপ্রধান ও অভিনয়মুখর ছবি। এ ছবিতে অভিনেতা জায়েদ খানের পথচলা শুরু হলো। আগাগোড়া চমকে দিয়েছেন জয় চৌধুরী। যারা এফডিসির টিপিক্যাল ছবি পছন্দ করেন, তাদের জন্য যত্নে বানানো ছবি 'অন্তর জ্বালা'। তবে যারা জয়েন্ট ভেঞ্চারে তৃপ্ত তারা এ ছবি থেকে দূরে থাকুন। আমি কথিত তামিল ছবিটা দেখিনি। দেখতে চাইও না। আফসারী সাহেব কখনো দর্শকদের ঠকান না। আমার ৭০ টাকা উসুল।

সৈয়দ নাজমুস সাকিব ফেসবুকে লিখেছেন, ঢাকার সিনেমা হল আর ঢাকার বাইরের সিনেমা হলের পার্থক্য অনেকদিন পর আবারও ভালো করে টের পেলাম। ঢাকায় দর্শক মূলত সিনেপ্লেক্সে। ঢাকার বাইরের সিনেমা হলের দর্শক একদম আলাদা। এসি চলে না, ভ্যাপসা গরম, সিট ভাঙা, টয়লেটে ভয়াবহ দুর্গন্ধ- কোন কিছুই তাদের মাথায় নাই যদি সিনেমাটা তাদের 'মনমতো' হয়। সিনেমা দেখে পয়সা উশুল হল কী না, আনন্দ এর জায়গায় আনন্দ করতে পেরেছে কিনা আবার কান্নার জায়গায় চোখে পানি এসেছে কী না- এটাই তাদের কাছে মূল বিষয়। গল্প তাদের যদি ছুঁয়ে যায় আর অভিনয়টা মোটামুটি পাশমার্ক পেলেই তারা খুশি দর্শক হিসেবে।

সানি রিফাত নামে আরেকজন লিখেছেন, #অন্তর_জ্বালা। রিভিউ লিখতে পারি না, তাই মুভি দেখে আসার পরে মতামতটুকু শেয়ার করলাম মাত্র। সত্যিই অসাধারণ একটি সিনেমা 'অন্তর জ্বালা'। এমন মুভি বানিয়ে চ্যালেঞ্জ নেওয়াই যায় যে, 'হিট হবেই'... জায়েদ খানের অভিনয়, মুভির গল্প, নির্মাণ সব মিলিয়ে মালেক আফসারী সাহেব তো ফাটিয়ে দিলেন। ঝিনাইদহের প্রিয়া সিনেমা হলে ৩.৩০ এর শোতে দেখলাম মুভিটা। মুভিটা নিয়ে যেমনটা আশা করেছিলাম তার চেয়েও দ্বিগুণ পেয়েছি। টিকিটের টাকা তো উসুলই বরং আরও একবার দেখবার মন চায়...

এমন কিছু দৃশ্য চোখের সামনে এলো যেগুলো দেখে সত্যিই কান্না চলে আসে। এমন মুভির কথা মনে থাকে অনেকদিন, কারণ এই মুভিগুলো সচরাচর পাওয়া যায় না...পরীমণির মারা যাওয়ার সময়, কিংবা আলাল ও তার বাবার কিছু অভিনয়ের দৃশ্যে বা ছোট পোলা এবং জায়েদকে দড়ি দিয়ে পিটানো দেখলে সত্যিই কান্না চলে আসে। বড় চমক হলো নায়ক মান্নাকে বড় পর্দায় দেখা, সেটা হউক গানে কিংবা অল্প সময়ের জন্য। সব মিলিয়ে দেখার মতো একটা সিনেমা হলো অন্তর জ্বালা। (যাহারা মুভি না দেখিয়া এই পোস্টে হা হা দিবেন তাদের আগে মুভি দেখার অনুরোধ রইল তারপর পারলে হা হা দিয়েন)

চলচ্চিত্র অভিনেতা কায়েস আরজু লিখেছেন, দেখলাম অন্তর জ্বালা...মন ভরে গেল... পরী ফাটিয়ে দিয়েচ্ছিস... নুতন করে প্রেমে পড়লাম তোর। জায়েদ ভাই আপনার জীবনের সেরা মুভি 'অন্তর জ্বালা'। মালেক আফসারী স্যার... আপনি আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বেঁচে থাকুন হাজার বছর...

সাজ্জাদ খান লিখেছেন, একই ছবি একদিনে দুইবার দেখলাম। মনে থাকার মতো এক গল্প।

কিছু কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও ফেসবুকে পাওয়া গেছে। মূলত একটি গানকে কেন্দ্র করে এ সমালোচনা এগিয়েছে।  

বিডি প্রতিদিন/১৬ ডিসেম্বর, ২০১৭/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর