৭ মে, ২০১৮ ১৬:৫০
'আশ্বিনের শিশির কণা’র প্রকাশনা উৎসবে কবি সালেম সুলেরী

বাংলা কবিতাচর্চার প্রধান শর্ত ছন্দ-জ্ঞান

অনলাইন ডেস্ক

বাংলা কবিতাচর্চার প্রধান শর্ত ছন্দ-জ্ঞান

'আশ্বিনের শিশির কণা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছেন কবি সালেম সুলেরী।

সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হলো ‘আশ্বিনের শিশির কণা’ কাব্যগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব। বইটি লিখেছেন নিউইয়র্কের বিশিষ্ট প্রবাসী কবি আব্দুস শহীদ। তাজমহল পার্টি হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রথাগত সভাপতি ছিলো না। তবে কবি-কথাকার সালেম সুলেরীকে অনুষ্ঠানের মধ্যমণি ঘোষণা করা হয়। তিনি বাংলাদেশ-ভারত-প্রবাসবাংলা’র সংগঠন তিনবাংলা’র গ্লোবাল প্রেসিডেন্ট। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কবি তমিজউদ্দিন লোদী। সম্মানিত অতিথির আসনে ছিলেন বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক লেখক তাসের মাহমুদ। এছাড়াও চট্টগ্রাম পোর্টের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা জনাব হাদী বাবুল, সিলেট পৌরসভার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম খান ও লেখক-গবেষক মাহমুদুল চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ইয়াহিয়া চৌধুরী, রুমানা শেখ, মাসুদ চৌধুরী, কণ্ঠশিল্পী অসিত চৌধুরী প্রমুখ। প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় ছিলেন গীতিকার কথাকার ইশতিয়াক রূপু। 

‘আশ্বিনের শিশির কণা’ কাব্যগ্রন্থটি সুনামগঞ্জের ‘উড়াল প্রকাশ’ কর্তৃক প্রকাশিত। প্রচ্ছদ এঁকেছে তরুণ শিল্পী যুথিকা ভৌমিক নিপা। ২০১৮ সালে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থটির বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা। সূচনা বক্তব্যে কবি তমিজউদ্দিন লোদী বইটির পরিচিতি ও পটভূমি ব্যাখ্যা করেন। বলেন, প্রকৃতি নির্ভর শিরোনাম। আশ্বিনের শিশির কণা'য় যেন প্রকৃতি আড়মোড়া ভেঙেছে। সাংবাদিক তাসের মাহমুদ বলেন, একঘেঁয়েমিতার পাশে চমক আনা কবিতা। সারল্য থাকলেও সমকালীনতা রয়েছে বক্তব্যে। মুক্তিযোদ্ধা হাদী বলেন, স্বদেশচিত্র আঁকতে সফল হয়েছেন কবি শহীদ। মাহমুদুল চৌধুরী বলেন, সুনামগঞ্জের মানুষ হিসেবে কবিকে নিয়ে আমরা গর্বিত। অনুষ্ঠানের শুরুতে মোনাজাত পরিচালনা করেন মুক্তিযোদ্ধা ফখরুল ইসলাম খান। নিজের লেখা বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কবি আব্দুস শহীদ। বলেন, ছাত্রজীবনে লেখালেখি করতাম। প্রবাসজীবনে এসে আবার লেখালেখির জগতকে জড়িয়ে নিয়েছি। অনুপ্রেরণা পেলে আরও ভালো লিখতে পারবো আশাকরি।

দীর্ঘ বক্তব্য রাখেন মধ্যমণি কবি-কথাকার সালেম সুলেরী। বলেন, অ্যামেরিকা-কানাডায় এপ্রিল হচ্ছে কবিতার মাস। আজকের আয়োজনটি কাব্যমাসের স্মারক স্মৃতিতে মহীয়ান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ বলেছেন, ‘সহজ কথা লিখতে আমায় কহ যে। সহজ কথা যায় না লেখা সহজে।’ কবি আব্দুস শহীদ সেই সহজ ভাষার কবিতা উপহার দিয়েছেন। শাশ্বত বাঙালির পছন্দের ছন্দ-কবিতাও নান্দনিকতা বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, বাংলা কবিতার প্রধান শর্ত ছন্দ-জ্ঞান। চিকিৎসক-প্রকৌশলীদের মতো কবি হতেও ছন্দ-ব্যকরণ জানা জরুরী। তিনি ‘আশ্বিনের শিশির কণা’র বহুল প্রসার কামনা করেন। নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

( কবি সালেম সুলেরীর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

বিডি-প্রতিদিন/০৬ মে, ২০১৮/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর