১৬ আগস্টই প্রথম প্রতিবাদ হয়। আগস্ট মাসেই শুরু হয় খুনী সরকারের উচ্ছেদের জন্য সশস্ত্র প্রতিরোধ। শাহাদাৎ বরণ করেন শতাধিক মুজিবভক্ত। যাদের ৯১ জনের নাম ঠিকানা আছে। বৃহত্তর রাজশাহী বিভাগ, টাঙ্গাইল ও বৃহত্তর ময়মনসিংহ, খুলনা বিভাগের কয়েকটি জেলা থেকে কম বেশি ১০ হাজার মুজিবভক্ত সামরিক সরকার উৎখাত করতে থানা, বিডিআর বিওপি আক্রমণসহ সশস্ত্র লড়াই চালিয়ে যায়। ১৯৭৮ সালের এপ্রিল মাসে লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটে। নেত্রকোণা জেলার ভবানীপুরে সেক্টর হেড কোয়ার্টার গঠিত হয়েছিল।
জিয়া সরকার সেই প্রতিবাদীদের হত্যা করেই থেমে থাকেনি। তাদের অনেককে ফাঁসির আদেশ দেয়, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে অনেককে, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় কয়েকশত যোদ্ধাকে। প্রতিবাদী যোদ্ধাদের অধিকাংশই জীবিত আছেন। আছেন অধিনায়ক বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকীও (তাকে নিয়ে যত বিতর্কই হোক না কেন, এখন সেই বিএনপির ছায়াতলে যেতে উদ্যত হলেও ওই প্রতিবাদ স্বীকার করতেই হবে)। জীবিত আছেন দীপংকর তালুকদার ও তার মতো অনেক কমান্ডার। তারপরও জানতে হয় মুজিবের মৃত্যুর পর কেউ প্রতিবাদ করেনি।
(ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)
বিডি-প্রতিদিন/১৪ আগস্ট, ২০১৮/মাহবুব