“আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত”। পড়ালেখার বিষয়ে সরকারিভাবে সকল সুযোগ সুবিধা প্রাপ্তির পরও পারিবারিকভাবে অবহেলিত অনেক শিশু হারিয়ে যায় জিবনের স্বাভাবিক গতিপথ থেকে।
আগামীর ভবিষ্যতের জন্য নির্ধারিত সহজ পথ থেকে শুরুতেই বিচ্যুতি ঘটে ঝরে যায় অনেক শিশুর বিকাশের পথ। রুদ্ধ হয় তাদের ভবিষ্যত। কিন্তু ঝরে যাতে না যায় সেজন্য আমরা বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যরাও যে ভাল কিছু করতে পারি তা আজ প্রমান করলেন সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া আমাদের শ্রদ্ধেয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
সমাজের সুবিধা বঞ্চিত অবহেলিত এইসব পথশিশুদের জন্য কিছু একটা উত্তম কাজ করার চিন্তা করলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ। আর সেই সুচিন্তা বাস্তবায়ন করার জন্য পরামর্শ গ্রহন করলেন ডিসি ফরিদ উদ্দিন স্যারের।
ডিসি ফরিদ স্যারের সার্বিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফয়সাল মাহমুদ স্যারের সরাসরি তত্তাবধানে ও উদ্যোগে পোস্তগোলা এলাকার কিছু উৎসাহী নিবেদিতপ্রাণ মানুষের সহযোগিতায় তৈরী হল “আলোর ইস্কুল” নামক সম্পূর্ণ নতুন একটি স্কুল। বাংলাদেশ পুলিশ পরিবারের ভাল কাজের খাতায় আবারো যুক্ত হল নতুন একটি পালক।
সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে আর নবচেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে আজ পথচলা শুরু হল “আলোর ইস্কুল”এর। ওসি শ্যামপুর মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ব্যতিক্রমধর্মী এই মহৎ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পেরে সত্যিই নিজেকে ধন্য মনে করছি। সফলতা কামনা করছি এই মহান স্কুলটির। দিব্যি দেখতে পাচ্ছি এই স্কুলেরই কোন ছাত্রের ভবিষ্যত অসামান্য সাফল্য।
এই মহতি উদ্যোগের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন সংশিষ্ট সবাইকে।
লেখক: ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), যাত্রাবাড়ী থানা।
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন