২৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৮:৪১

মহাস্থানগড় খননে বেরিয়ে এলো গুপ্ত যুগের নির্দশন

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া:

মহাস্থানগড় খননে বেরিয়ে এলো গুপ্ত যুগের নির্দশন

বগুড়ার মহাস্থানগড়ে খননে বের হয়ে এসেছে গুপ্ত যুগের নানা নির্দশন। পাওয়া গেছে ইটের তৈরি অবকাঠামো, নর্দান ব্ল্যাক পলিশড অয়ের (এনবিপিডব্লিউ) বা উত্তরাঞ্চলীয় চকচকে কালো মৃৎ পাত্রের টুকরা, গুপ্ত আমলের ইটের তৈরি দেয়াল, নকশা করা ইট, টালি, কাঁচের গুটিকা, মাছ ধরার জালে ব্যবহারের জন্য তৈরি পোড়া মাটির বল, ফুলাংকিত ও পিরামিড আকারের নকশা করা ইট সহ নানা ধরণের নিদর্শন।

প্রত্নতাত্ত্বিকগণের ধারণামতে এ নিদর্শনগুলো যীশু খ্রীস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগের। সে সময় মৌর্য, সুঙ্গ এবং গুপ্ত আমল ছিল। আর বগুড়ার মহাস্থানগড়ে পাওয়া নিদর্শনগুলো গুপ্ত আমলের শেষ দিকে তৈরি করা হয়েছে।

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক নাহিদ সুলতানা জানান, বগুড়ার মহাস্থানগড়ে গত ২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ ও ফ্রান্স যৌথভাবে খনন শুরু করলে এগুলো পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে এই নিদর্শনগুলো গুপ্ত আমলের। খননকাজ চলবে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। নিদর্শনগুলো যীশু খ্রীস্টের জন্মের ৬০০ বছর আগের এবং কিছু নিদর্শন পরের। তবে এখানে পাওয়া এনবিপিডব্লিউ মৌর্য আমলে ব্যবহার করা হতো।
 
বগুড়ার মহাস্থান যাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মো. মজিবুর রহমান জানান, খননে প্রাচীন ইটের যেসব দেয়াল পাওয়া গেছে তা গুপ্ত আমলের শেষ দিকে তৈরি করা হয়েছে। তিনি বলেন, বগুড়ার মহাস্থানগড়ের বৈরাগীর ভিটার দক্ষিণ পূর্ব পাশে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল খনন কাজ পর্যবেক্ষণ করছেন। খনন কাজ শেষে পরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া যাবে মৌর্য, সুঙ্গ না গুপ্ত আমলের নিদর্শন এগুলো। তবে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত যে নিদর্শনগুলো গুপ্ত আমলের। ওই এলাকায় খননে আরও নিদর্শন পাওয়া যেতে পারে বলে ধারণা করছেন তারা।

বিডি-প্রতিদিন/২৯ নভেম্বর ২০১৫/ এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর