৬ মে, ২০১৬ ১২:৫০

তাজমহলের অজানা কিছু তথ্য

অনলাইন ডেস্ক

তাজমহলের অজানা কিছু তথ্য

এই মাসেই তাজমহলে দেখা মেলে মুঘল সম্রাট শাহজাহান ও মমতাজকে। তবে জীবিত নয় খুব কাছ থেকে তাদের সমাধীকে দেখার সুযোগ পান সাধারন মানুষ। তাজ মহলের অভ্যন্তরে থাকা সমাধির দরজা খুলে দেওয়া মাত্র কয়েক দিনের জন্য। 

এসময় সাধারণ মানুষ একেবারে সমাধি-শায়িত শাহানশাহ আর বেগমের সামনে চলে যেতে পারেন। আসলে এটা মুঘল সম্রাট শাহজাহান-এর জন্মমাস। যাকে উর্দুতে বলা হয় 'অর্স'। এই 'অর্স' তিথি পালনের জন্যই মাত্র তিনটি দিনে শাহজাহান আর মমতাজ মহলকে সমাধির কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা জানাতে পারেন সাধারণ মানুষ।

এই বছর গত ৩ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত টানা তিন দিন সমাধির দরজা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল। ৩ এবং ৪ তারিখে দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দর্শকরা সমধির কাছে যেতে পেরেছেন। শেষ দিন ৫ মে একেবারে সকাল থেকেই তারা প্রবেশ করতে পেরেছেন সমাধি-কক্ষে। 

শাহজাহানের এই জন্মতিথি পালনের নিজস্ব কিছু রীতি আছে। সবার প্রথমে পালিত হয় 'গোসল কি রসম'। শাহানশাহকে স্নান করানোর পরে শুরু হয় 'সন্দল কি রসম' বা চন্দন লেপন। তার পরেই সমাধিকে সাজানো হয় ফুলে, যাকে বলা হয় 'গুল কি রসম'। সবার শেষে সম্মানার্থে সমাধির উপরে বিছিয়ে দেয়া হয় নানা রঙের এক দীর্ঘ চাদর। 

এই প্রথাকে বলা হয় 'চাদর পোশি'। 'চাদর পোশি'-র এক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যে চাদর দিয়ে ঢেকে দেয়া হবে সমাধি তার রঙের বাহার লক্ষ্য করার মতো। আলাদা আলাদা রং এক্ষেত্রে ভারতের সব শ্রেণির, সব ধর্মের মানুষের প্রতীক।

প্রতি বছরেই একটু একটু করে বাড়ানো হয় তার দৈর্ঘ্য। গত বছরে যেমন চাদরটি ছিল ৮১০ ফুট লম্বা। এবারে তা হয়েছে ৮৭০ ফুট লম্বা।

 

 

 

বিডি-প্রতিদিন/৬ মে, ২০১৬/ হিমেল-০২

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর