১২ জুলাই, ২০১৬ ১০:০৬

নিজেদেরই মাংস খেত আদিম মানুষ!

অনলাইন ডেস্ক

নিজেদেরই মাংস খেত আদিম মানুষ!

মানব সভ্যতার কোন পর্বে যে ঠিক কী লুকিয়ে থাকতে পারে, তা কল্পনারও অতীত! এ নিয়ে গবেষণাও চলছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। মাঝে মাঝেই একেকটা অধ্যায় চলে আসে চোখের সামনে যা হতবাক করে দেয়! সম্প্রতি নতুন এমনই এক তথ্য সামনে হাজির। বেলজিয়ামের এক গুহায় নিয়েনডারথাল মানুষের অস্থি খুঁজে পাওয়ার পর বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন, সেই সময়ের মানুষ নরখাদক ছিল! নিয়েনডারথাল মানুষরা নিজেদের মাংস খেতে দ্বিধা বোধ করত না।
ইতিহাস বলছে, ৪,০০,০০০ বছর আগে এই মানবপ্রজাতি ইউরোপ আর পশ্চিম এশিয়ার নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। ৪০,০০০ বছর আগে তারা লুপ্ত হয়ে যায় পৃথিবী থেকে। সেই জন্যই তাদের নিয়ে কৌতুহলেরও অন্ত নেই। মনে করা হয়, এই নিয়েনডারথালদের জীবনযাপনের সূত্রটি খুঁজে পেলে মানবসভ্যতার ইতিহাসের এক অনাবিষ্কৃত অধ্যায়ে আলোকপাত হবে।

সেই আলোকপাতের ধারাই এবার চমকে দিল পৃথিবীকে। বেলজিয়ামের গয়েট গুহায় চারজন প্রাপ্তবয়স্ক এবং একজন শিশুর অস্থি পরীক্ষা করে জানা গেল, নিয়েনডারথাল মানুষ নরখাদক ছিল। ৪০,৫০০ থেকে ৪৫,৫০০ বছর আগে মৃত এই মানুষদের হাড়ের ৯৯টি টুকরো পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, নিয়েনডারথাল মানুষ অন্যকে হত্যা করে তার মাংস খেত না! গোষ্ঠীর মধ্যে কারও মৃত্যু হলে তখনই তার মাংস খাওয়া হত।
এতটা জোর দিয়ে তারা কীভাবে বলছেন এই কথা?

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, গুহায় যে হাড়গুলো পাওয়া গেছে, সেগুলো পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, ওগুলো তীক্ষ্ণ পাথরের ফলা দিয়ে আঘাত করে করে শরীর থেকে ভেঙে নেওয়া হয়েছিল। পাথর দিয়ে হাঁড় ফাটিয়ে বের করে নেওয়া হয়েছিল মজ্জা। তাছাড়া যে দাঁত পাওয়া গেছে, সেগুলো পরীক্ষা করেও মানুষের মাংস খাওয়ার প্রমাণ মিলেছে!
অবশ্য, এই দাবি যে নিয়েনডারথালদের নিয়ে এই প্রথম উঠল, তা কিন্তু নয়। এর আগে যখন ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের এক গুহা থেকে নিয়েনডারথাল মানুষের অস্থি আবিষ্কৃত হয়েছিল, তখনও ঠিক এই কথাই বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা।

অনেক গবেষক যদিও দাবি করে থাকেন, এই মৃত মানুষের মাংস খাওয়াটা নিয়েনডারথালদের অভ্যাস নয়, বরং একটা প্রথা, শেষকৃত্যের অংশ।

বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর