ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর কেটে গেছে অনেকগুলো বছর। এতদিন পর তাদের আর এক কীর্তির খোঁজ মিলল ভারতের মহারাষ্ট্রে। সেখানে রাজভবনের নিচে প্রায় ১৫০ মিটার লম্বা বাঙ্কার আবিষ্কার করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল স্বয়ং।
প্রায় তিন মাস আগে রাজভবনের পুরনো কর্মচারীদের মুখে এই বাঙ্কারের কথা শুনেছিলেন রাজ্যপাল বিদ্যাসাগর রাও। এককালে এই মালাবার হিল ছিল ব্রিটিশ গভর্নরদের ছুটি কাটানোর ঠিকানা। গরমের দেশে গরমের ছুটি কাটাতে এই এলাকাকেই বেছে নিতেন সাহেবরা। পরে লর্ড রে এখানে পাকাপাকিভাবে বসবাস করতে শুরু করেন। তাই রাজভবনের নিচে বাঙ্কারের অস্তিত্ব আছে শুনেই তা নিয়ে খোঁজখবর করার নির্দেশ দেন মহারাষ্ট্রের বর্তমান রাজ্যপাল। শেষমেশ দীর্ঘ কয়েক দশক পর দরজা খুলল এ বাঙ্কারের। একটি দেওয়াল দিয়ে আটকানো ছিল গুপ্ত বাঙ্কারের প্রবেশমুখ। তা ভাঙতেই ভিতরে খোঁজ যেন খোঁজ মিলল আর এক দুনিয়ার।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল হয়তো একটি সুড়ঙ্গ আছে। কিন্তু পরে দেখা গেল ব্যারাকই ছিল রাজভবনের নিচে। মোট ১৩টি কক্ষ রয়েছে এই বাঙ্কারে। বন্দুক, কার্তুজ ইত্যাদি রাখার আলাদা আলাদা কক্ষসহ প্রায় ৫০০০ স্কয়ার ফুট জায়গা জুড়ে রয়েছে এই বাঙ্কার। তিন মিটার চওড়া আর ১২ ফুট উচ্চতার বাঙ্কারটিতে অস্ত্র রাখার পাশাপাশি মানুষের বাসের জন্য কক্ষও রয়েছে।জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকে আর এর দরজা কেউই খোলেননি। সত্তর বছরের মাথায় খুলল বিশাল দরজাটি। তবে সবাই দেখে অবাক হলেন যে, বাঙ্কারে এত দশক পরেও কোনো ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। বাঙ্কারে নিকাশী ব্যবস্থার পাশাপাশি আলো-হাওয়া খেলার ব্যবস্থাও আছে। রাজ্যপাল নিজে বাঙ্কার ঘুরে দেখেছেন। তার ইচ্ছা ভবিষ্যতের জন্য এটি সংরক্ষণ করে রাখা হোক। বাঙ্কারের ইতিহাস খুঁজে বের করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথাও বলেছেন তিনি। রাষ্ট্রপতিকেও এই গুপ্ত বাঙ্কারের কথা জানানোর ইচ্ছে আছে তার। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ আগস্ট, ২০১৬/ আফরোজ