১৭ নভেম্বর, ২০১৬ ১০:৪৪

বাঁশেই ওদের সকাল, বাঁশেই স্বপ্ন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

বাঁশেই ওদের সকাল, বাঁশেই স্বপ্ন

বাঁশ নিয়ে প্রতিদিনের সকাল হয় আর বাঁশেই চলে জীবন যুদ্ধ। বংশ পরম্পরায় প্রায় শতবর্ষ ধরে বাঁশ দিয়ে তৈরি জিনিসপত্র বিক্রি করে জীবনযাপন করে আসছেন ফিলুমিনা মারদি, শ্যামল মারান্ডী, ফ্রান্সিস মারান্ডি, সালোমি মুরমু, আসুন্তা টুডুসহ ৫০ সাঁওতাল পরিবার। বাঁশের এই শিল্পকে আঁকড়ে থাকা এসব সাঁওতাল আদিবাসিরা নিজেদের ‘মাহলি’ বলে পরিচয় দেন।

দিনাজপুরের শহরতলীর কসবা মিশনের পাশে বিশফ পাড়ায় তাদের বসবাস। তারা বাঁশ দিয়ে ধামা, কুলা, হাত পাখা, সেমাই খাঁচা, গাছের টপ খাঁচাসহ বাঁশের নানান জিনিসপত্র তৈরি করে বিক্রি করেন। অর্ডার নিয়ে যে কোন বাঁশের জিনিস তৈরি করে দেন তারা।

প্রবীণ ফিলুমুনা মারদী জানান, ব্রিটিশ সরকারের সময় থেকে বংশ পরম্পরায় বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করেই জীবনযাপন করছেন তারা। এজন্যই তাদের মাহলি জাত হিসেবেও ডাকা হয় বলে জানান তিনি। প্রায় ৫০ এর মতো পরিবার বাস করে এ পাড়ায়। আগে বেশিরভাগই বাঁশ শিল্পের উপরে নির্ভর করলেও এখন তাদের ছেলেমেয়েরা বিভিন্ন পেশায় যুক্ত হচ্ছেন।

আরেক প্রবীণ শ্যামল মারান্ডি জানান, তিনিও শৈশব থেকে বাঁশের জিনিসপত্র তৈরি করে জীবনযাপন করছেন। তবে আম, লিচুর মৌসুমে খাঁচার চাহিদা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় উপার্জন একটু বেশি হয়। ওই সময় দৈনিক ৫০০-৬০০ টাকার মতো উপার্জন করা যায়। অন্যান্য সময়ে খরচ বাদে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় হয়।

শ্যামল মারান্ডি বলেন, আমাদের পুঁজি নাই। তাই বাঁশের ক্ষুদ্র শিল্পটিতে সহযোগিতা পেলে এটি বিকশিত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের জীবনমান আরও উন্নত হতো।


বিডি প্রতিদিন/১৭ নভেম্বর, ২০১৬/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর