২৬ নভেম্বর, ২০১৬ ১৪:০০

'ছবিতে এ কী দেখলাম!'

অনলাইন ডেস্ক

'ছবিতে এ কী দেখলাম!'

সংগৃহীত

খুব মনোযোগ দিয়ে দেখেও প্রথম ধাক্কায় কেউ হয়তো বুঝতে পারবেন না এই ছবির মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর মানুখেকো। ছবিটি তুলেছিলেন এক নারী ফটোগ্রাফার। আর মৃত্যু তখন তার থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে। কিন্তু ছবিটি জুম করতেই আৎকে ওঠেন তিনি। অতঃপর দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন। কী দেখলেন তিনি?

মাদাগাস্কারের ন্যাশনাল পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন জুলিয়া সান্দুকোভা। ফটোগ্রাফি তার নেশা। একের পর এক ক্লিক করে যাচ্ছিলেন। নিরব প্রকৃতির মাঝে নিজেকে আবিস্কার করে বেশ ভালোই লাগছিল। এই নিরব ছিমছাম প্রকৃতির মাঝে যে নিশ্চিত মৃত্যু লুকিয়ে আছে তা তিনি মোটেও ঠাওর করতে পারেননি। হয়ত আপনিও পারবেন না। কিন্তু জুলিয়া যখন ছবি তোলায় মগ্ন, তখন মানুষখেকো এক দানব ঠিকই তাকে লক্ষ্য করে যাচ্ছিল।

এক সময় বিষয়টি ধরে ফেললেন ৩৭ বছর বয়সী রাশিয়ান ফটোগ্রাফার। ছবি তুলে যখন ক্যামেরায় আবারো দেখতে গেলেন, তখন ভয়ে সিঁটকে গেলেন তিনি। জুম করতেই দেখলেন কচুরিপানার মধ্যে দু'টো চোখ তাকেই লক্ষ্য করছে। বললেন, ছবিতে এ কী দেখলাম! ভয়ে আমার চুল দাঁড়িয়ে গেলো। ওটা একটা বিশাল সাইজের কুমির। চুপচাপ কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে ছিল।

ওটা ছিল একটি নাইল ক্রোকোডাইল। মানুষ নিধনের ক্ষেত্রে এটাকে অন্যতম মারাত্মক প্রাণী বলে বিবেচনা করা হয়। এরা দৈর্ঘ্যে ১৬ ফুট ৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হতে পারে। সাব-সাহারিয়ান আফ্রিকার ডোবা-নালা, নদী এবং লেকে ঘুরে বেড়ায়। এর আগে অনেক মানুষকে আক্রমণ করার এবং মেরে ফেলার রেকর্ড রয়েছে এই কুমিরের।

২০১৫ সালের মার্চে জিম্বাবুয়ে এবং জাম্বিয়ার মাঝামাঝি জাম্বেজি নদীতে নৌকা ভ্রমণ উপভোগ করছিলেন এক দল ব্রিটিশ পর্যটক। হঠাৎ তারা দেখলেন একটি নাইল ক্রোকোডাইল একটি মানুষকে খাচ্ছে। নৌকা কাছে যেতেই দেখা গেল, মানুষটির দেহের ওপরের অংশ সাবাড় করে পায়ের অংশ শুরু করেছে কুমিরটি। সূত্র: ডেইলি মেইল


বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর