২৬ নভেম্বর, ২০১৬ ১৫:২২

দিনাজপুরে বদ্ধ পানিতে কুঁচিয়া চাষে সাফল্য

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর:

দিনাজপুরে বদ্ধ পানিতে কুঁচিয়া চাষে সাফল্য

দিনাজপুরে এ্যাকোয়া কালচার বা বদ্ধ পানিতে কুঁচিয়া চাষে ব্যাপক সাফলতা পাওয়া গেছে। জেলার বিরামপুর উপজেলায় শ্যামপুর, চন্ডিপুর, আয়ড়া, বেলডাঙ্গা ও কল্যাণপুর গ্রামে এ কুঁচিয়া চাষ হচ্ছে। কুঁচিয়ার পুষ্টিগুণ ও রোগ নিরাময়কারী পথ্যগুণের কারণে দেশের বাজার ছাড়াও ভারত ও চীনে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। পুষ্টি চাহিদার যোগানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখছে এ কুঁচিয়া। 

বিরামপুর মৎস্য অফিস জানায়, মানবদেহের বিভিন্ন রোগ নিরাময়কারী, অধিক আমিষ ও পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ কুঁচিয়া চাষ অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এটি ব্যথা নাশক, রক্ত পরিস্কারক, রক্ত সঞ্চালন ও হজম শক্তি বৃদ্ধি, শ্বাসকষ্ট নিরাময় এবং উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে। স্থানীয় আদিবাসী ১০/১২ জনের কমিটি করে সরকারি অর্থায়ন ও তদারকিতে ৫টি গ্রামে এ খামার পরিচালিত হচ্ছে।

বিরামপুরের প্রফেসার পাড়ার কুঁচিয়া চাষ প্রদর্শনী খামারের দলপতি নরেন পাহান জানান, কুঁচিয়া স্থানীয় বাজারে ব্যাপক চাহিদা এবং প্রতি কেজি কুঁচিয়া ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এ ধরণের একটি খামার থেকে বছরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার কুঁচিয়া পাওয়া সম্ভব। ছোট পরিসরে চাষাবাদ ও স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার কথা ভেবে অনেক মাছ চাষী ও এনজিওর এই কুঁচিয়া চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। মাত্র পাঁচ মাসে ঐসব পোনা কুঁচিয়া প্রতিটির ওজন হয় ২৫০ থেকে ৪শ’ গ্রাম। চাষে খরচও তেমন নাই। এদের রোগ বালাইয়ের ঝুঁকি নেই। কুঁচিয়ারা গুঁড়া মাছ, কেঁচো, শামুক, ব্যাঙাচী ও জলজ পোকা-মাকড় খেয়ে থাকে এবং একবার পোনা ছাড়লে পরবর্তীতে নিজেরাই বংশ বৃদ্ধি করে নেয়।

বিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নূরনবী জানান, কুঁচিয়ার চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, পুষ্টি চাহিদার যোগান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রতি আগ্রহী করে তোলার লক্ষ্যে প্রকল্পের অধিনে বদ্ধ পানিতে ৫টি গ্রামে প্রদর্শনীগুলো চালু করা হয়েছে। ৩শ’ বর্গফুট আয়তনের প্রতিটিতে প্রায় দুই হাজার সংখ্যক পোনা ছাড়া হয়।

তিনি জানান, নিচে ও চারদিকে মোটা পলিথিন ও ত্রিপল দিয়ে ঘেরা দিতে হয়। ত্রিপল ও পলিথিনের উপর ৪ স্তরের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে কুঁচিয়ার আবাসস্থল তৈরি করা হয়। তৈরি এ্যাকোয়ার ভিতর পোনা ছেড়ে সামান্য খাবারেই সেগুলো অভাবনীয় ভাবে বেড়ে ওঠে। 


বিডি প্রতিদিন/২৬ নভেম্বর ২০১৬/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর