বিশ্বায়নের যুগে যে হারে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনে মত ঘটনা ঘটছে তাতে বিশ্বের কোনও কোণাতেই নারীরা সুরক্ষিত নন। তবে এই বিষয়ে নিয়েই সম্প্রতি থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন একটি সমীক্ষা চালিয়েছে৷ প্রায় ৬,৫৫০ জন নারীর ওপর পরীক্ষা চালানো হয় এই গবেষণায়। এতে দেখা গিয়েছে বিশ্বে এমন সাতটি শহর রয়েছে যেখানে পরিবহন ব্যবস্থা নারীদের জন্য একেবারেই সুরক্ষিত নয়।

অসুরক্ষিত শহরের তালিকায় সবার প্রথমেই উঠে এসেছে ভারতের নয়া দিল্লির নাম। এখানে কোনও নারী যদি একা একা ঘুরে বেড়াতে চান তবে তা একেবারেই সম্ভব নয়। বিশেষ করে সন্ধ্যের পর। আড়াই কোটি মানুষের বাস এই শহরে। জনসংখ্যার দিক থেকে এটিই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজধানী। ২০১২ সালে নির্ভয়া কাণ্ডই এর সবচেয়ে বড় জ্বলন্ত প্রমাণ। শুধু নির্ভয়া একা নয়, তার পরেই দিল্লিতে প্রায় প্রতিদিনই অন্তই একজন করে মহিলা লাঞ্চনার শিকার হয়ে চলেছেন।

মেক্সিকো সিটিতে প্রায় ২ কোটি ১০ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। এটি মেক্সিকোর রাজধানীও। কিন্তু সভ্য শহর হয়েও এই শহরের নারীরা অসুরক্ষিত। এই শহরে যে নারীরা গণপরিবহণের মাধ্যমে যাতায়াত করেন তারা প্রতিনিয়তই শ্লীলতাহানি ও শারীরিক হেনস্তার শিকার হন।

পেরুর রাজধানী লিমা শহরে প্রায় ৬২ লক্ষ মানুষের বাস। এই শহরটি যদিও একটি অনুন্নত দেশের অধীনে। এই শহরের এক তৃতীয়াং মানুষ দ্রারিদ্য সীমার নিচে বসবাস করেন। সেকারণেই এখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা নারীদের পক্ষে অত্যন্ত বিপজ্জনক৷ ছিনতাই, যৌন হয়রানি বা শ্লীলতাহানির ঘটনা এই শহরের নিত্যদিনের সঙ্গী।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থাও একেবারেই বেহাল। ইতিমধ্যেই সাধারণ পরিবহণে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনার ফলে ব্যাপ সমালোচনার মুখে পড়েছে সেদেশের সরকার। সেকারণেই ট্রেনে ও বাসে নারীদের বসার আলাদা ব্যবস্থা করে হয়েছে। এখানকার বাসে পকেটমারের ঘটনা একেবারেই সাধারণ।

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরে পর্যটনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জনপ্রিয়। কিন্তু এশহরের চিত্রটাও একই রকম। দেখা গিয়েছে এশহরের রাতের বেলায় একজন নারী একেবারেই নিরাপদ নন।

সাধারণ কোনও পর্যটক বিদেশ যাত্রা বলতেই বোঝেন ব্যাংকক-পাটায় ট্রিপ। দক্ষিণ এশিয়ার পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় ব্যাংককও নারীদের জন্য অসুরক্ষিত। বাসে বা ট্রেনে প্রতিনিয়তই যৌন হেনস্তার শিকার হন মহিলারা।

সূত্র: কোলকাতা টোয়েন্টিফোর