৫ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৬:৫৪

সমুদ্রের বুক চিরে জন্ম নিল ঘূর্ণি-জলের স্তম্ভ

অনলাইন ডেস্ক

সমুদ্রের বুক চিরে জন্ম নিল ঘূর্ণি-জলের স্তম্ভ

ঘূর্ণিঝড় কস্মিনকালে চোখে পড়লেও ঘূর্ণায়মান জলস্তম্ভ সচরাচর দৃশ্যমান হয় না। দীঘার সমুদ্রতটে বছরে দৈবাৎ এই দৃশ্য হয়তো কারো কারো কপালে জোটে। কিন্তু তার স্থায়ীত্ব আর কতটা?

এক টানা এক-একটা এমন জলস্তম্ভ চর্কিপাক খাচ্ছে প্রায় চার থেকে পাঁচ মিনিট। তার উচ্ছ্বাসে ভেসে যাচ্ছে সমুদ্রতটের বালি। কখনও তা এতটাই জোরাল যে, সমুদ্রের পাড়ে থাকা ছোট তাঁবু থেকে অস্থায়ী ঘরগুলোকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আতঙ্কে দৌঁড়াদৌড়ি করছেন পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের হোটেলের পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা।

সংবাদ সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, এই ঘূর্ণায়মান জলের স্তম্ভের ঢেউ সমতলে আছড়ে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিও হয়েছে। তৎক্ষণাৎ পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয় সমুদ্রতট থেকে। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গেছে গাড়ি, উপড়ে নিয়েছে বাড়ির ছাদ।

এমনই একটি অভাবনীয় দৃশ্যের সাক্ষী হল উত্তর-পশ্চিম ইতালির সমুদ্র উপকূলবর্তী শহর সানরেমো। অসংখ্য দর্শকের মধ্যে থেকে কেউ কেউ এই বিস্ময়কর দৃশ্যকে ক্যামেরাবন্দি করতে ছাড়েননি। পরে যা সোস্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বে।

এই ঘূর্ণি-জলের স্তম্ভগুলোর উচ্চতা এতটাই ছিল যে, উপস্থিত পর্যটকরা প্রথমে ভাবেন কোনো টর্নেডো বোধহয় সমুদ্রের দিক থেকে ধেয়ে আসছে। তখনই শুরু হয়ে যায় পড়িমড়ি অবস্থা। আবার সমুদ্র লাগোয়া অঞ্চলগুলো থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রথমে মনে করেন, আকাশের সাদা মেঘ হয়তো মাথার অনেকটা কাছাকাছি নেমে এসেছে। কিন্তু তা যে মেঘ নয়, জলপুঞ্জ তা গা ভিজতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

বিডি প্রতিদিন/০৫ ডিসেম্বর ২০১৭/আরাফাত

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর