ঢাক-ঢোল বিক্রি করে সংসার চালান মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বালিয়াখোড়া গ্রামের প্রায় ২০টি পরিবার। বর্তমানে অনেকেই ভিন্ন পেশায় কাজ করছেন। এক সময় প্রতিটি পরিবারই এই পেশার সাথে জরিত ছিলেন। বংশ পরম্পরায় এরা ঢাক-ঢোল, তবলা, শিশুদের জন্য খেলনা ঢোল ইত্যাদি তৈরী ও বাজারজাত করে আসছেন।
বেশীরভাগ পরিবার নিজেরাই কাজ করে থাকেন। তবে কেও কেও কারিগর নিয়ে কাজ করেন। অনেকগুলি ধাপে এসব কাজ করা হয়। প্রথমে বিভিন্ন করাতকল থেকে (স মেশিন) আম, ডুমরা, নিমসহ বিভিন্ন সাইজের গোলাই কাঠ ক্রয় করে প্রয়োজন মতো সাইজ করা হয়। তারপর রং করে সুতা চামড়া দিয়ে সেটিকে মোড়ানো হয়। প্রকার ভেদে এগুলি সাত হাজার থেকে বার হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
এলাকার সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী গোপাল দাস বলেন, আমরা সাত ভাই। দুই ভাই ছাড়া সকলেই এই পেশার সাথে জড়িয়ে আছি। এ ব্যবসা করে পাঁচ ভাই খেয়ে পরে ভালোই আছি। আমাদের তৈরি করা পণ্যগুলি ঢাকার শাখারী বাজারে পাইকারি দরে বিক্রি করা। কিছু কিছু জিনিস খুচরা বিক্রি হয়ে থাকে। বর্তমানে বাজার খারাপ হওয়ায় অর্ডার নেই। তবে শীত মৌসুমে চাহিদা বাড়বে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে মালামাল তৈরি করে রাখা হচ্ছে, অর্ডার পেলে ঢাকায় পাঠানো হবে। ঢাকা থেকে সারা দেশেই ছড়িয়ে যায় আমাদের এসব ঢাক-ঢোল। আমরা নিজেদের সাধ্য মতো এগুলি তৈরি করে যাচ্ছি। ব্যাংকের সুদের ঝামেলায় যেতে চাই না। নিজেদের যা পুঁজি আছে তাই দিয়েই চলার চেষ্টা করছি। তবে সরকার যদি সুদবিহীন ঋণ দিতো তাহলে ব্যবসা কিছুটা বাড়ানো যেত।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল