হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস সেজেছে কাশফুলের শুভ্রতায়। কাশফুলের মনোরম দৃশ্য শিক্ষার্থীসহ সবার মন কাড়ছে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে কাশফুল ফুটে জানান দিচ্ছে এসে গেছে শরৎকাল। বর্ষার পর রূপের রানি নামে পরিচিত শরৎকালে সাদা সাদা ফুল নিয়ে ওপরে ভেসে চলা মেঘের দিকে চেয়ে থাকে কাশফুল। গন্ধ নেই, তবে সৌন্দর্যে এবং জনপ্রিয়তায় ছাড়িয়ে গেছে সুগন্ধযুক্ত ফুলকেও।
মনোমুগ্ধকর ও শুভ্রতায় কাশফুলের সৌন্দর্যের আকর্ষণ শিক্ষার্থীসহ সকলকে কাছে টানছে। পাশাপাশি দর্শনার্থীদেরকেও আকর্ষণ করছে। কাশফুল যেন প্রাকৃতিক পরিবেশে ক্যাম্পাসকে দিয়েছে নতুন প্রাণ।
হাবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের পেছনের ফাঁকা জায়গায় দেখা যাচ্ছে সারি সারি কাঁশবনে ফুটে আছে কাশফুল। এখন এই কাশফুলের শুভ্র সৌন্দর্য উপভোগ করতে কিংবা একটু সময় কাটাতে ক্যাম্পাসে ভিড় করছে শিক্ষার্থীসহ প্রকৃতিপ্রেমিরা। আবার অনেকে প্রকৃতির এই সৌন্দর্যকে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ারও করছেন।
হাবিপ্রবির শিক্ষার্থী মো. সজিব আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসে প্রতিবছরই কাশফুলের সৌন্দর্যে তৈরী হয় এক অনন্য প্রকৃতির পরিবেশ। লেখাপড়ার ফাঁকে যখন এই শুভ্র ফুলগুলোর দিকে তাকাই, মনে হয় প্রকৃতির সঙ্গে নতুন সংযোগ ঘটিয়ে মুগ্ধ করে। এখানে এসে বন্ধুদের সাথে সেলফি তোলা, কাশবনে হাঁটা সবকিছুতেই যেন আলাদা প্রশান্তি।
কাশফুল মূলত ছনগোত্রীয় এক ধরনের বহুবর্ষজীবী ঘাসজাতীয় উদ্ভিদ। কাশফুল উদ্ভিদটি উচ্চতায় সাধারণত ৩ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। হাবিপ্রবির ক্যাম্পাসের ফাঁকা জায়গা ছাড়াও নদীর ধার, জলাভূমি, চরাঞ্চল, শুকনা রুক্ষ এলাকা, পাহাড় কিংবা গ্রামের কোনো উঁচু জায়গায় কাশের ঝাড় বেড়ে ওঠে। তবে বাংলাদেশের সব অঞ্চলেই কাশফুল দেখতে পাওয়া যায়।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল