রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

ড্রাইভারসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

ড্রাইভারসহ পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদ

সিআইডির সাবেক অতিরিক্ত এসপি ফজলুল করিম খান খুনের ঘটনায় গাড়ি চালকসহ পরিবারের পাঁচ সদস্যকে

জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। গত শুক্রবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ফজলুল করিমের ভাগ্নে, স্ত্রী স্বপ্না করিম এবং স্বপ্নার ভাই তৌহিদুল কাশেম খান প্রিন্সকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। গতকাল সকালে গোয়েন্দা পুলিশ নিহতের দুই ভাতিজা রুবেল ও শান্তকে (যাদের সঙ্গে তার জমি নিয়ে বিরোধ ছিল) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রামপুরা থানার এসআই জামাল হোসেন জানান, ফজলুল করিমের পারিবারিক ও পেশাগত বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ছাড়া স্থানীয় মাদক সংক্রান্ত বিষয়কেও প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। তিনি জানান, গতকাল বিকালে ঘটনাস্থলে যাওয়াসহ নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক ফজলুল করিমের গাড়ি চালক লিটনকেও ডিবি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের পর চালক লিটনের আচরণ সন্দেহের সৃষ্টি করেছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। ঘটনার পর নিহতের স্ত্রী স্বপ্না করিম সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ঘটনার সময় চালক লিটন ভবনের প্রবেশ মুখে গাড়ি পরিষ্কার করছিল। খুনিরা তার সামনে দিয়েই বাড়িতে প্রবেশ করে এবং চলে যায়। খুনিরা চলে যাওয়ার পরপরই লিটন তৃতীয় তলায় গিয়ে স্বপ্না করিমকে জানায়, 'সন্ত্রাসীরা চলে গেছে, আপনি বের হোন, স্যারকে নিয়ে হাসপাতালে যেতে হবে।' স্বপ্না করিমের এই বক্তব্যকে গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে পুলিশ লিটনকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

সিআইডির এডিশনাল এসপি (ফরেনসিক বিভাগ) ড. মামুন জানান, ঘটনাস্থল থেকে সংগৃহীত আলামত পরীক্ষা করা হচ্ছে। সূত্র জানায়, এই খুনের ঘটনায় মাদকের বিষয়টিকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ফজলুল করিমের বাসার আশপাশে মাদক ব্যবসায়ী ও সেবিদের ব্যাপক আনাগোনা ছিল। মাদকের বিরুদ্ধে ফজলুল করিম স্থানীয়দের সংঘবদ্ধ করে তুলছিলেন। এ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঘটনার কয়েকদিন আগে তার কথাকাটি হয়।

পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ডিসি আশরাফুজ্জামান জানান, সিআইডির সাবেক কর্মকর্তা খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি ঘটনাকে সামনে রেখে তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। এর মধ্যে পারিবারিক বিরোধ, মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব, কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালনের সময় কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্ব এবং সামাজিক কোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফজলুল করিম নিহতের ঘটনায় ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রামপুরার ওয়াপদা রোডে ৭৫/২ নম্বর 'স্বপ্নপূরী' নামক নিজ বাড়িতে ফজলুল করিম নিহত হন।

 

 

সর্বশেষ খবর