রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

তত্ত্বাবধায়ক না হলে সর্বদলীয়

তত্ত্বাবধায়ক না হলে সর্বদলীয়

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে বিশিষ্ট আইনজীবী ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশের মানুষ নির্দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন চায়। তাই জনগণের মতকে গুরুত্ব দিতে হবে। এ ছাড়া এখনো সর্বদলীয় সরকার গঠন করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। সর্বদলীয় সরকার গঠন সম্ভব কি না প্রশ্নে কামাল হোসেন বলেন, ঐকমত্য হলে কোনো সমস্যা নেই। গতকাল সুপ্রিমকোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ড. এম জহিরের স্মরণে এক শোকসভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব বলেন ড. কামাল। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে (বিলিয়া) এ শোকসভা হয়। তিনি বলেন, নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচন হতে হবে এমন যার নিরপেক্ষতা ও বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন না ওঠে। বির্তক না সৃষ্টি হয়। দুই দলের দাবি অনুযায়ী নয়, মধ্যপন্থা অবলম্বন করে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শ দিয়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক উল হক। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেটা বলছেন সেটাও টিকবে না। আর 'তত্ত্বাবধায়ক' যেটা বলা হচ্ছে সেটাও হবে না। তিনি বলেন, দুজনই চান নির্বাচন হোক। নির্বাচন হবে না এটা কেউ চায় না। নির্বাচন হতে গেলে কিছু একটা মধ্যপন্থা অবলম্বন করতেই হবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে মনে করি বাংলাদেশে গণতন্ত্র অব্যাহত থাকা উচিত। সরকারি দলেই হোক, আর বিরোধী দলেই হোক, সবার স্বার্থে যেমন করেই হোক নির্বাচন করতে হবে এবং সেই নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। শোকসভায় এম জহিরের স্মৃতিচারণ করেন সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতি, আইনজীবী ও তার সহকর্মীরা। শোকসভায় সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান।

 

 

সর্বশেষ খবর