বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

ঐশী নাবালিকা নয়

নিহত পুলিশ দম্পতির মেয়ে ঐশী রহমানের বয়স প্রায় ১৯ বছরের মতো বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের পরীক্ষায় পুলিশ দম্পতির বাসার গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমীর বয়স পাওয়া গেছে প্রায় ১১ বছর। চিকিৎসকদের এই প্রতিবেদন গতকাল ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছেন আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপপরিদর্শক গাফ্ফারুল আলম। বাবা-মায়ের হত্যাকারী সন্দেহে ঐশীকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করায় পুলিশের পক্ষ থেকে এই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের ফ্ল্যাটে এসবি পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়া ঐশী ১৭ আগস্ট পুলিশের কাছে ধরা দেন। এরপর তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ঐশী হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার চাপে বাধ্য হয়ে সুমী এ কাজে সহযোগিতা করেছে। অঙ্ফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের 'ও' লেভেলের শিক্ষার্থী ঐশীর বয়স বিদ্যালয়ের নথি অনুযায়ী ১৮ বছরের কম হওয়ায় তাকে রিমান্ডে নেওয়ার মাধ্যমে শিশু আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ২০ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের কাছে ঐশীর বয়স পরীক্ষার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। হাকিম তানবীর আহমেদ ওই আবেদন মঞ্জুর করায় পরদিন ঐশীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ। সেখানে ঐশী ও সুমির বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিৎসকরা। সমালোচনার কারণে রিমান্ড শেষে তাদের পাঠানো হয় গাজীপুরের কোনাবাড়ি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে। এদিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু আল খায়ের ২৯ আগস্ট ঐশীর জন্মসনদ আদালতে দাখিল করেন, এতে বলা হয় তার বয়স ১৮ বছরের বেশি। ওই আবেদন যাচাই করে ঢাকা মহানগর হাকিম আনোয়ার ছাদাত গাজীপুরের কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে থাকা ঐশীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে কাশিমপুর মহিলা কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

সর্বশেষ খবর