শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৪ ০০:০০ টা

জেলে ২১ পদের খাবার খেতেন গোলাম আযম

জেলে ২১ পদের খাবার খেতেন গোলাম আযম
দিনের বিভিন্ন সময়ে মোট ২১ পদের খাবার খেতেন গোলাম আযম। তার স্ত্রী আফিফা আযমের ২০১২ সালের ৪ মার্চ দেওয়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ খাদ্য তালিকার অনুমোদন দেওয়া হয়। খাদ্য তালিকার অনুলিপি কারা কর্তৃপক্ষ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, সংশ্লিষ্ট ডাক্তারসহ সরকারের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল মজিদ ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করতেন। খাদ্য তালিকা ও খাওয়ার সময়ের হেরফের হওয়ার কোনো সুযোগ ছিল না। এক দিন রাতের খাবার নির্ধারিত সময় ৮টার পরিবর্তে সাড়ে ৮টায় দেওয়ার কারণে সেদিন তিনি রাগ করে খাবারই খাননি। অন্যদিকে গোলাম আযমের পছন্দের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার সরবরাহ করতে দেরি হওয়ায় তিনি ‘হাঙ্গার স্ট্রাইক’ পর্যন্ত করেন। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আচার সরবরাহ করলে তিনি স্ট্রাইক ভঙ্গ করেন। গোলাম আযম দিনে পাঁচ-ছয় বার খাবার খেতেন। তার খাদ্য তালিকায় ছিল- সকাল ৮টায় সকালের নাশতা, লাল আটার পাতলা পাউরুটি চার-পাঁচ পিস, ডিম ভাজি, সবজি ভাজি (আলু ছাড়া), মুরগি (কারি বা ভুনা), মিষ্টি (এনসিওর ব্র্যান্ড), দুধ ও কলা। বেলা ১১টায় খেতেন লাড্ডু, নিমকি-বিস্কুট ও হরলিকস বা স্যুপ। দুপুরে খেতেন চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, টাকি বা চিংড়ি মাছ ভর্তা, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ছোট মাছ বা চিংড়ি মাছ ভুনা, সালাদ ও লেবু, মাল্টা বা বরই বা নাশপাতি। বিকালে তিন-চার প্রকার দেশি-বিদেশি ফল দিয়ে হালকা নাশতা করতেন। রাতের খাবারের তালিকায় ছিল চিকন চালের ভাত, করলা ভাজি, বেগুন ভাজি বা ভর্তা, ঢেঁঁড়স বা মিষ্টিকুমড়া বা পেঁপে ভাজি, গরু বা খাসির মাংস ভুনা, সালাদ ও লেবু এবং কমলা, মাল্টা, নাশপাতি, আঙুর বা বরই। এ ছাড়া সকাল ৯টায় এক চামচ মধু, এক চামচ অলিভ অয়েল, দুটি বিস্কুট, চিঁড়া ভাজা বা মুড়ির মোয়া, দুধ, হরলিকস ও দুটি ডিম। বেলা ১১টায় খিচুরি সবজি, স্যুপ, আচার ও ফল। বেলা ২টায় দুই টুকরা মাছ, সবজি, ডাল ও আচার। বিকালে নাশতায় স্যুপ ও ফল। রাত ৮টায় ভাত, মুরগির মাংস, সবজি, ডাল, আচার ও ফল।

সর্বশেষ খবর