রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

সারা দেশের ব্যবসায়ীরা এবার রাজপথে নামছেন

বিএনপি-জামায়াতের চলমান অবরোধ ও হরতালের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সহিংসতা ও নাশকতার প্রতিবাদ জানাতে এবার অহিংস কর্মসূচি নিয়ে পতাকা হাতে রাজপথে নামছেন সারা দেশের ব্যবসায়ীরা। তারা সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কর্মসূচি পালন করবেন আগামী বৃহস্পতিবার অথবা শনিবার। এফবিসিসিআই আজ জরুরি বোর্ডসভা শেষে এ কর্মসূচি ঘোষণা করবে। সব জেলা, উপজেলা ও বড় শহরগুলোতে ৩০ মিনিটের এই নীরব কর্মসূচিতে অংশ নিতে দেশের সর্বস্তরের ব্যবসায়ী-জনতা, সাধারণ মানুষ, শ্রমজীবী, শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তা ও মেহনতী মানুষকে আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। কর্মসূচিতে কী কী থাকছে- জানতে চাইলে এফবিসিসিআইর সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজনৈতিক সহিংসতার প্রতিবাদে আমাদের এই কর্মসূচি হবে সর্বোচ্চ শান্তিপূর্ণ। দেশের সব জেলা চেম্বার, মেট্রোপলিটন চেম্বার, সব বাণিজ্যিক সংগঠনের পাশাপাশি এই কর্মসূচিতে আমরা সাধারণ মানুষকেও অংশ নিতে আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি আরও জানান, সারা দেশের দোকানপাট ও স্ব স্ব ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে পতাকা হাতে মৌন অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাবে ব্যবসায়ী-জনতা। এর আগে চলমান অবরোধ-হরতাল বন্ধে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ। ১০ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে তিনি বিরাজমান সহিংসতা বন্ধে আইনের আশ্রয় নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই বলে দাবি করেন। তখন তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। হরতাল-অবরোধের নামে দেশে অব্যাহত সহিংসতা বন্ধে এফবিসিসিআই আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছে। তার মতে, বাংলাদেশকে মধ্যআয়ের দেশ হিসেবে উন্নীত হতে হলে অবশ্যই সংঘাত ও নেতিবাচক রাজনৈতিক কর্মসূচি বিশেষ করে হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পরিহার করা উচিত। কেননা এ ধরনের কর্মসূচি অর্থনীতির জন্য হুমকি।
কর্মসূচি ঘোষণা করতে আজ এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদ জরুরি সভা ডেকেছে। বেলা ১১টায় এ সভায় কর্মসূচি চূড়ান্ত করে তা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সারা দেশের ব্যবসায়ীদের জানিয়ে দেওয়া হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এফবিসিসিআইর তিন পরিচালক আবু আলম চৌধুরী, শাহেদুল ইসলাম হেলাল ও আবু মোতালেব পৃথকভাবে বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, শনিবার কর্মসূচির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সংগঠনটির আরেক পরিচালক মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সারা দেশের ব্যবসায়ীরা সংকটে পড়েছেন। তারা ভয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। দেশ ও অর্থনীতিও ক্ষতির শিকার হচ্ছে। এফবিসিসিআইর মতে, দেশের মোট বিনিয়োগের প্রায় ৮০ শতাংশ বেসরকারি খাতের। প্রতি বছরই দেশে প্রায় ৩০ লাখ লোক কর্মবাজারে আসছে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে যদি বেসরকারি খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়, তাহলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

সর্বশেষ খবর