শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

তখন দল চলবে যেভাবে

তখন দল চলবে যেভাবে

খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দল চলবে কীভাবে- এ নিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বিভিন্ন আলোচনা। তবে দলের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের দুজন সদস্য জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন গ্রেফতার হলে দল চলবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী। গঠনতন্ত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের কথা বলা হয়েছে। সে হিসেবে তারেক রহমান দায়িত্ব পালন করবেন। কিন্তু তিনিও লন্ডনে অবস্থান করছেন। তাহলে এ অবস্থায় দলের হাল ধরবেন কে? এ ক্ষেত্রে তারেক রহমানের পাশাপাশি দেশে অবস্থান নেওয়া নেতাদের মধ্য থেকে একজনকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। দলীয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা হিসেবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আর এ গনির নাম আলোচনায় এসেছে। এ ছাড়া দলের আরেক প্রবীণ ও ত্যাগী নেতা তরিকুল ইসলামের নামও শোনা যাচ্ছে। দলের নেতারা বলছেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে দল পরিচালনায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর কাউকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ওই সময় দলের গঠনতন্ত্রে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিধান ছিল না। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিধান রাখা হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপারসনের অবর্তমানে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। বর্তমানে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হচ্ছেন তারেক রহমান। সে হিসেবে তিনিই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকবেন। খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান দেশে আসতে পারেন- এমন গুঞ্জনও আছে। অবশ্য জিয়া পরিবার থেকে বরাবরই এ খবর নাকচ করে দেওয়া হচ্ছে। দলের অনেকেই চান, ক্লিন ইমেজের জোবায়দা খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে দলের ‘হাল’ ধরুন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গ্রেফতার হলে দল কীভাবে চলবে- এমন প্রশ্নে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপারসনের অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হবেন। তবে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান লন্ডনে চিকিৎসাধীন। এ অবস্থায় পরিবর্তিত পরিস্থিতি অনুযায়ী দল পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অবশ্য দলের আরেক অংশ বলছে, দলের কয়েকজনকে দিয়ে একটি আপদকালীন ‘কোর কমিটি’ করা হতে পারে, যারা আপদকালে দায়িত্ব পালন করবেন। এদের একজনকে সমন্বয়কের দায়িত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু কারও হাতে একক কোনো ক্ষমতা থাকবে না।
যে সিদ্ধান্তই আসবে তা কোর কমিটির সব সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে হতে হবে।

সর্বশেষ খবর