শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ ০০:০০ টা

সহিংসতা বন্ধ ও সংলাপে অনাগ্রহে ইপিতে উদ্বেগ

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আলোচনায় বাংলাদেশে চলমান সহিংসতা বন্ধ ও সংলাপে অনাগ্রহের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। গতকাল ব্রাসেলসে পার্লামেন্ট কক্ষে এ আলোচনা হয়। এতে অংশ নেন পার্লামেন্ট সদস্যরা। উল্লেখ্য, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) মানবাধিকার বিষয়ক উপ-কমিটির প্রধান ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদার নেতৃত্বে ক্যারল ক্রাসকি ও ইয়োসেফ ভেইডেনহোলজারসহ তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল গত ১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফর করে। গতকাল পার্লামেন্ট কমিটির সভায় এই সফরে প্রণীত প্রতিবেদন ও প্রকাশিত বিবৃতির বিষয় উপস্থাপন করা হয়। জানা গেছে, প্রতিবেদন উত্থাপিত হওয়ার পর বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে নির্বাচিত পার্লামেন্টের সদস্যরা দেড় ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন। তারা প্রণীত বিবৃতির সঙ্গে একমত পোষণ করে বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তবে অলোচনার পর এ দিন কোনো প্রস্তাবনা গৃহীত হয়নি। প্রসঙ্গত, প্রতিনিধি দলের বিবৃতিতে বলা হয়, দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা চুক্তির ১নং অনুচ্ছেদ অনুসারে ইপি বিশ্বাস করে মানবাধিকার ও গণতন্ত্র বাংলাদেশ-ইইউ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। সফরকারী দল শ্রম অধিকার, নারী-শিশু-সংখ্যালঘু অধিকারকে বিশেষ গুরুত্ব ছাড়াও বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সহিংসতায় জনগণের সাধারণ ও রাজনৈতিক অধিকারগুলোর প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছেন। সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে বৈঠকে প্রতিনিধিরা অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক বিশ্ব ও বাংলাদেশের সুশীল সমাজের প্রতি রাজনৈতিক সংকট সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যা এবং মতপ্রকাশের অধিকার নিয়েও উদ্বেগের কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মানবাধিকারের বিনিময়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা কোনো বিকল্প হতে পারে না। কার্যকর গণতন্ত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অন্যতম স্তম্ভ। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো এবং প্রস্তাবিত ফরেন ডোনেশন অ্যাক্টের সংস্কারের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে বিবৃতিতে।

সর্বশেষ খবর