সোমবার, ১৬ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

খালেদার স্থান কারাগার

খালেদার স্থান কারাগার

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জায়গা সংলাপের টেবিলে নয়, কাশিমপুর কারাগারে। গত ৭০ দিনে খালেদা জিয়ার সরাসরি নির্দেশে শতাধিক মানুষ আগুন সন্ত্রাসে দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এসব ঘটনায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হচ্ছে। মামলাগুলো আদালতে গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সচিবালয়ে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সে সময় তিনি আরও বলেন, আগুনে পোড়া লাশের গন্ধ এখনো খালেদা জিয়ার দামি পারফিউমের গন্ধকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। তথ্যমন্ত্রী লিখিত দুই পৃষ্ঠার বক্তব্যে খালেদা জিয়ার শুক্রবারের সংবাদ সম্মেলনের বিভিন্ন বিষয়ের যুক্তিখণ্ডন করেন। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভেবেছিলাম বেগম জিয়ার নিষ্ঠুর হৃদয়ে সামান্য হলেও রহম আসবে। তিনি সাধারণ মানুষের কান্না-আহাজারি শুনতে পাবেন। বাতাসে আগুনে পোড়া লাশের গন্ধ তার মন পরিবর্তন করবে। কিন্তু অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে দেশবাসীকে চরম হতাশ করেছেন। তথ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেন, খালেদা জিয়া সাধারণ মানুষ, গণমাধ্যম, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তার একগুঁয়েমি বজায় রেখেছেন। মন্ত্রী বলেন, আগুন-সন্ত্রাস-নাশকতা-জঙ্গিবাদ আজ দেশের প্রধান সমস্যা। সরকার শক্ত হাতে সব সন্ত্রাস, নাশকতা অন্তর্ঘাত মোকাবিলা করে দেশকে সচল রেখেছে এবং জনজীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে এনেছে। আর এসব আগুন সন্ত্রাস-নাশকতা অচিরেই নিশ্চিহ্ন করা হবে। তথ্যমন্ত্রী দাবি করেন, দেশে গণতন্ত্র পুরোপুরি আছে। কারণ বেগম খালেদা একজন ফেরারি আসামি হয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সেই সংবাদ সম্মেলন গণমাধ্যমগুলো সরাসরি সম্প্রচার করেছে। সরকার থেকে কোনো বাধার সৃষ্টি করা হয়নি। এর পরও যারা বলেন দেশে গণতন্ত্র বা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই তারা ‘অন্ধ’। সংবিধান সংশোধন করে খালেদা জিয়ার নির্বাচন দাবির বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়ার আসল এজেন্ডা ছিল না, এখনো নেই। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারে আদালতের নির্দেশের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার আদালতের নির্দেশ পালন করতে বাধ্য। সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ, জঙ্গিবাদী ও মৌলবাদীদের রক্ষা, দুর্নীতিসহ বিভিন্ন মামলা ও বিচার থেকে উনি ও উনার পরিবারের সদস্যদের নিষ্কৃতির জন্য নিজেই নিজেকে ভুল রাজনীতির পথে নিয়ে গেছেন। উনার ভুল রাজনীতির খেসারত জনগণ কেন দেবে? তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য আলোচনা-সংলাপ হতেই পারে। কিন্তু একটি নির্বাচনের জন্য কোনো ‘এডহক’ ব্যবস্থার ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা কোনোভাবেই যুক্তিসঙ্গত নয়। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে উন্নত ও শক্তিশালী করার জন্য কোনো স্থায়ী প্রস্তাবও বেগম জিয়া দেননি, দিতেও পারছেন না।-নিজস্ব প্রতিবেদক

সর্বশেষ খবর