ঢাকা উত্তর, দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটিতে সরকারের পক্ষ থেকে নীলনকশার নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এ অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, সরকারের নীলনকশা বাস্তবায়নের জন্য অবাধ ও সুষ্ঠু সিটি নির্বাচনের পথে বাধা এলে এর পরিণতি ভালো হবে না। জনগণ সব ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। তিনি বলেন, মানুষের আশা ছিল সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং সব পক্ষকেই সমান সুযোগ দেবে। কিন্তু তা হয়নি। বরং নির্বাচন নিয়ন্ত্রণে নিতে ইসিকে ব্যবহার করছে, যার প্রমাণ নাম-ঠিকানাবিহীন প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বিএনপির এই নীতিনির্ধারক জানান, তার দলকে বিরাট প্রতিবন্ধকতা এবং প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচনে অংশ নিতে হয়েছে। সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মির্জা আব্বাস এখনো ভোটারের কাছে যেতে পারেননি। এমনকি ৩৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীও নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিতে পারেননি। তারা আত্মগোপনে আছেন। পুলিশের হয়রানির কারণে বিএনপির শত শত নেতা-কর্মী এ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে পারছেন না। দলের সর্বোচ্চ ব্যক্তি বেগম খালেদা জিয়ার ওপর চারবার হামলা হয়েছে। তার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয়েছে। দেশবাসী তা দেখেছে। কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন এ ব্যাপারে যে আচরণ করেছে তাতে মর্মাহত হওয়া ছাড়া আর কিছু করার নেই আমাদের।’ এ সময় মওদুদ আহমদ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, র্যাব, পুলিশ ও নির্বাচন কমিশন যদি আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টা করে তাহলে এর বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মেরুদণ্ড সোজা করুন : বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে বলেছেন, আপনারা মেরুদণ্ড সোজা করুন। ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করুন। নইলে এখনই পদ থেকে সরে দাঁড়ান। গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সিটি নির্বাচন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি যৌথবাহিনীর নামে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানির অভিযোগ করেন। সিটি নির্বাচন নিয়ে ‘মওসুস’-এর মতো ভুঁইফোড় কোনো সংস্থার রিপোর্ট বা সার্টিফিকেট বিএনপি মানবে না বলেও জানান তিনি।