সোমবার, ৪ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

আওয়ামী লীগ উৎফুল্ল

আওয়ামী লীগ উৎফুল্ল

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল-সমর্থিত মেয়র প্রার্থীসহ অধিকাংশ এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীর বিজয়ে উৎফুল্ল আওয়ামী লীগ। ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন দলের শীর্ষ নেতারা। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও বিরাজ করছে জয়ের আনন্দ। খুশির ঢেউ লেগেছে। নতুন উদ্যম আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মনেও। দলের যারা নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে ছিলেন তারাও এ বিজয়কে নিজেদের সাফল্য হিসেবে দেখছেন। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সিটি নির্বাচনের জয়কে দেখছেন দলের জনপ্রিয়তার মাপকাঠিতে।
বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের টানা ৯২ দিনের হরতাল-অবরোধ মোকাবিলা করে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয় অর্জন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সফলতা বলে মনে করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। ৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং সদ্য অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিতর্ক থাকলেও আপাত দৃষ্টিতে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সফল বলেই মনে করছেন তারা।
সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩ সিটিতেই দল-সমর্থিত প্রার্থীর বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখন কর্মীদের পদভারে মুখর। ধানমন্ডি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ও মুখরিত নেতা-কর্মী-সমর্থকদের উপস্থিতিতে। দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিতি বেড়েছে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের। তৃণমূলেও লেগেছে উৎসবের হাওয়া। দল-সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয়ে সারা দেশে বইছে উৎসবের ঢেউ। প্রায় এক দশক পর রাজধানীতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রদের প্রত্যাবর্তনে মহানগর আওয়ামী লীগেও লেগেছে প্রাণের ছোঁয়া। এর আগে ঢাকার মেয়র পদটি ছিল বিএনপির দখলে। ঢাকা দক্ষিণে সাঈদ খোকন ও উত্তরে আনিসুল হক এবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। একই চিত্র বন্দরনগরী চট্টগ্রামেও। চট্টগ্রামে এবার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা আ জ ম নাছির উদ্দিন। তার জয়ের মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগেও এখন বইছে আনন্দধারা। নেতা-কর্মীরাও চাঙ্গা হয়ে উঠছেন ক্রমাগত। বদলে গেছে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, সিটি নির্বাচনের এমন ফলাফলের কারণে এবার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্থবিরতাও কাটবে। দলীয় কর্মসূচিতে আসবে গতিশীলতা। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের থানায় থানায় নতুন কমিটিও গঠন হবে শিগগিরই। দলের অভ্যন্তরে বিরাজমান কোন্দল, বিভক্তিরও অবসান হবে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও থানা কমিটির নতুন নেতৃত্ব ঘোষণার অপেক্ষায়। চট্টগ্রামেও মহানগর কমিটিতে আসবে প্রাণচাঞ্চল্য। সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে আসবে নতুন ধারা- এমন প্রত্যাশাই নগর নেতাদের।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ৩ সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের মধ্যে বইছে আনন্দ বন্যা। আমরাও আনন্দিত।

 

সর্বশেষ খবর