সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
আদালতে খাদ্য বিভাগের দাবি

খাওয়ার উপযোগী ব্রাজিলের গম

ব্রাজিল থেকে আনা ‘গম খাওয়ার উপযোগী’ দাবি করে আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে খাদ্য অধিদফতর। গতকাল জমা দেওয়া এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘গমের দানা ভাঙাচোরা, পুঁচকানো ও পোকাওয়ালা হলেও তা খাবার উপযোগী।’
খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস ব্রাজিল থেকে আমদানি করা গম নিয়ে একটি কমপ্লায়েন্ট প্রতিবেদন বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে জমা দেন। এ বিষয়ে আগামী ৮ জুলাই পরবর্তী শুনানি হবে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারে এ গম প্রেরণ করা হলে তাতে প্রোটিনের মাত্রা যাচাই করে চুক্তিপত্রে বর্ণিত নির্দেশের চেয়ে বেশি প্রোটিন রয়েছে মর্মে ফলাফল দেওয়া হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৪টি নমুনা বিসিএসআইআর-এ (সাইন্স ল্যাব) পাঠানো হলে গমের মান ভালো বলে প্রত্যয়ন করা হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে এ বিষয়ে শুনানিতে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলছেন এই গম খাওয়ার উপযোগী। অথচ যেসব পরীক্ষাগারের প্রতিবেদন এতে সংযুক্ত করা হয়েছে, তাতে কোথাও এই গম খাওয়ার উপযোগী বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, চুক্তি অনুযায়ী গম আসেনি। যে গ?মের নমুনা দেখানো হয়েছিল পরে সে গম আসেনি। যেগুলো এসেছে সেগুলো দানা ভাঙা, ওজন কম। কিন্তু খাওয়ার উপযোগী কি না সেটা কোথাও বলা হয়নি। তিনি এই প্রতিবেদন অসম্পূর্ণ বলে মন্তব্য করেন। ব্রাজিল থেকে নিুমানের গম আমদানিতে দুর্নীতির অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মাধ্যমে খতিয়ে দেখার নির্দেশনা চেয়ে এর আগে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী পাভেল মিয়া। এ গম নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনও আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এতে ওই গম মানুষের খাবার উপযোগী কি না, তা দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা (বিএসটিআই) ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মাধ্যমে পরীক্ষা করাতে আদালতের কাছে নির্দেশনা চাওয়া হয়। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জুন ব্রাজিল থেকে আমদানি করা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা মূল্যের গম মানুষের খাওয়ার উপযোগী কি না- তা জানতে চান হাইকোর্ট। এ ছাড়া খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয় সম্পর্কে জানিয়ে আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।

সর্বশেষ খবর