মঙ্গলবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

তিন সন্দেহভাজনকে ঘিরে তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন সন্দেহভাজনকে ঘিরে তদন্ত

ইতালির নাগরিক সিজার হত্যা

ইতালির নাগরিক তাভেলা সিজার খুনের তদন্ত চলছে সন্দেহভাজন তিন যুবককে ঘিরে। পুলিশের ধারণা, এই তিন যুবক তাভেলা খুনে সরাসরি জড়িত। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এদের সম্পর্কে শতভাগ নিশ্চিত হতে কাজ করছেন তারা।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, তাভেলা খুনে পুলিশ তিন যুবককে শনাক্ত করেছে। এদের মধ্যে একজনের নাম রাসেল। অপরজনের নাম রুবেল। এদের একজন মোবাইল ফোনের ব্যালেন্স রিচার্জ ব্যবসায়ী। তারা বাড্ডার বাসিন্দা এবং স্থানীয় এলাকার বিএনপির কর্মী। রুবেল মিল্কী হত্যা মামলার আসামি চঞ্চলের ভাগ্নেও। চঞ্চলের অস্ত্রশস্ত্র তার ভাগ্নে রুবেলের কাছেই থাকে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। চঞ্চল এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে।

সূত্র আরও জানায়, তাভেলা খুনের আগের দিন রুবেল অপরিচিত কয়েকজন যুবককে নিয়ে বাড্ডা এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। রুবেলের নিজস্ব একটি মোটরসাইকেলও রয়েছে। তাভেলা খুনে রুবেলের মোটরসাইকেল ব্যবহার হয়েছে কিনা তার খোঁজখবর নিচ্ছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে গুলশান ও বাড্ডা থানায়। সূত্রমতে, সিজারকে হত্যার পর আসামিরা সম্ভাব্য যেসব সড়ক দিয়ে পালাতে পারে সেসব সড়কের সিসি টিভি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। এ ঘটনার দিন বিকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত গুলশান, বনানী, নিকেতন, নতুনবাজারসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে তিনজন আরোহী নিয়ে যেসব মোটরসাইকেল চলাচল করেছে সেগুলোকে ইতিমধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে। বনানী-নিকেতন এলাকার অত্যাধুনিক সিসি টিভি ক্যামেরাগুলোতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অনুমোদিত মোটরসাইকেলের নম্বরগুলো উঠে এসেছে। তদন্ত কর্মকর্তারা নম্বরগুলো সংগ্রহ করে সেসব মোটরসাইকেলের মালিকদের ঠিকানা জানতে বিআরটিএর সহযোগিতা চেয়েছে। এরই মধ্যে অনেক তথ্য পেয়ে অনুসন্ধানও শুরু হয়েছে।  প্রসঙ্গত, ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলশান ২ নম্বরের ৯০ নম্বর সড়কের ফুটপাথে সিজারকে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। প্রত্যক্ষদর্শীদের জবানবন্দি ও সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ অনুযায়ী, দুই তরুণ গুলি চালিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

সর্বশেষ খবর